পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪শ অঃ ] ঐবিক্রমপুর। (tes. ভিট পর্যন্তই বিস্তৃত ছিল, কিন্তু তাহা হইলে বিক্রমপুর ও দমদমার মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ প্রান্তরমধ্যে কোনও প্রাচীন কীৰ্ত্তির নিদর্শন নাই কেন ? নগেন্দ্র বাবু হয় ত বলিবেন, রাজধানী ছিল বিক্রমপুরে, কিন্তু রাজবাড়ী ছিল তাহা হইতে পাঁচ মাইল দূরবর্তী দমদমায়। কিন্তু পুরাকালে রাজপ্রাসাদ নগরের কেন্দ্রস্থানেই নিৰ্ম্মিত হইত, বড়জোর নগর-প্রসাদের মধ্যেই অবস্থিত থাকিত । নগরের বাহিরে পাচ মাইল দূরে রাঙ্গপ্রাসান, ইহা অশ্রুতপূৰ্ব্ব। সুতরাং যদি দমদমার ভিটা বল্লালের ভিটা বলিয়াই পরিচিত থাকে, তবুও উহা বল্লাল সেনের রাজধানী, রাজপ্রাসাদ বা জয়স্কন্ধাবার হইতে পারে না। দমদমার ভিটা ও সাওতার দীঘী হইতে দুইটি জাঙ্গাল রামপাল ও নবদ্বীপ পর্য্যন্ত যে সম্প্রসারিত ছিল, তাহা সত্য বটে, এবং এই জাঙ্গাল হয় ত বল্লালসেনেরই নিৰ্ম্মিত । কিন্তুতাহা দ্বারা কি প্রমাণিত হইবে যে, এই জাঙ্গাল যে স্থানে আসিয়াছে, সেই স্থানেই বল্লালের রাজধানী প্রতিষ্ঠিত ছিল ? নগেন্দ্র বাবু “বিক্রম-তিরস্কৃত-সাহসাঙ্ক” পদের ব্যাখ্যা করিতে যাইয়। দেবগ্রামপতি বিক্রমরাজকে বিক্রমাদিত্যের সমতুল্য বলিয়া কল্পনা করিয়াছেন। দেবগ্রামের বিক্রমরাজ যে সাহসাঙ্ক নামে পরিচিত হইতেন, তাহার প্রমাণ কি ? এই সাহসাঙ্ক পদ ব্যবহার করিয়া প্রশস্তিকার হয় ত পুরাকালের বিক্রমাদিত্যকে অথবা চালুক্য-বংশের সাহসান্ধকে বিজয়সেন অপেক্ষ থাটো করিয়াছেন। দেবগ্রামের বিক্রমরাজ সম্বন্ধীয় এরূপ কোনও প্রমাণই আস্তাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই, যাহার উপর নির্ভর করিয়া স্বচ্ছন্দে র্তাহাকে ভারত-প্রসিদ্ধ বিক্রমাদিত্য অথবা চালুক্যবংশীয় সাহসাঙ্ক নৃপতির সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। স্বতরাং এ স্থলে সাহসান্ধ পদ দ্বারা দেবগ্রামাধিপতি বিক্রমরাজের কোনও ইঙ্গিত কল্পনা করা যায় না। সাহসাঙ্ক নামে একজন রাজা ছিলেন ; তিনিও বিজয়সেনের সমসামরিক ব্যক্তি ।