পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অঃ ] ধৰ্ম্মাদিত্য—সমাচার দেব। নদীমাতৃক পূৰ্ব্ববঙ্গে বাণিজ্যাদি কাৰ্য্য প্রধানতঃ অর্ণবপোত দ্বারাই সম্পন্ন হইত। বাণিজ্যাদি কার্য পরিদর্শন জন্ত একটা স্বতন্ত্র বিভাগ ছিল, উহার পরিচালনার ভার “ব্যাপার-কারগুয়ের” হন্তে দ্যস্ত ছিল ; তাহার অধীনে ব্যাপারাগুর পদ ছিল । ব্যাপার কারওয় হইতে সাধনিকের পদ উচ্চতর ছিল। কারণ প্রথম তাম্রশাসনে সাধনিক ভূমিদাতা এবং ২য় ৩য় শাসনের দাতা “ব্যাপার” কৰ্ম্মচারীগণ ; উহারা ভূমিক্রয়ের জন্ত অধিকরণ ও মহত্তরের নিকট প্রার্থ হইয়াছিল কিন্তু সাধনিক কেবলমাত্র মহত্তরের নিকটেই প্রার্থী হইয়া শাসনে রাজমুদ্র অঙ্কিত করাইতে সমর্থ হইয়াছিল। আবার ভূমি ক্রয় কালে সাধনিক বলিতেছেন “ইচ্ছাম্যহং ভবতাং সকাশাৎ”, কিন্তু ব্যাপার কারওয় গোপাল স্বামী "সাদর মুভিগম্য” বলিতেছেন, ইচ্ছেয়ম্ভবতাং প্রসাদাৎ।” - ধৰ্ম্মাদিত্য, গোপচন্দ্র ও সমাচার দেব, মহারাজাধিরাজ বলিয়া পরিচিত হইলেও “মণ্ডল’ বা বিষয়ের শাসন কার্য্যে “উপরিক গণই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিলেন বলিয়া অনুমিত হয়। এই “উপরিক” গণও মহারাজউপাধিতেই ভূষিত হইতেন ; বারক মণ্ডলের উপরিক স্থাণুস্তিকে আমরা মহারাজ উপাধিতেই ভূষিত দেখিতে পাই। ধৰ্ম্মাদিত্যের অপর তাম্রশাসনে নাগবে “মহাপ্রতি হারোপরিক বলিয়া পরিচিত। উভয় অশাসন আলোচনা করিলে “মহারাজ” ও “মহাপ্রতিহারোপরিক” এই দুইটি বিরুদ পৃথক হইলেও উভয়ের তুল্যাধিকারছিল বলিয়াই প্রতিপন্ন হইবে। ধৰ্ম্মাদিত্যের সময়ে, নাগদেবকে আমরা “মহাপ্রতিহারোপরিক” রূপে প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাই ; কিন্তু গোপচত্রের সময়ে, নাগদেব মহা প্রতিহার-ব্যাপরাও্য-বৃত-মূল-ক্রিয়ামাতা" পদে সমাসীন। মূক্রিামাতা” শঙ্গ সর্বপ্রধান মন্ত্ৰীপদ বাচ্য কিন, তাহ বিবেচ্য। মহারাজাধিরাজ । সমাচার দেবেব শাসনকালে জীবদত্ত স্থবৰ্ণৰঞ্চি অধ্যক্ষ এবং অন্তরঙ্গো