পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ०२ ঢাকার ইতিহাস। [ ১ম খণ্ড এখানে সঞ্চিত হইয়াছিল, উহ। তাহারই শেষ নিদর্শন স্বরূপ রহিয়াছে। বর্তমান সময়ে যে নিয়মে বঙ্গদেশ নদী মেখলায় পরিবেষ্টিত আছে তৎকালে ইহার যথেষ্ট বৈলক্ষণ্য ছিল। বস্তুতঃ সেই সময়ে নদনদী সমূহ যে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র নিয়মাধীনেই প্রবাহিত হইত তষিয়ে সনেষ্ট নাই। তৎকালে গঙ্গাও ব্রহ্মপুত্রের উত্তরবঙ্গস্থিত শাখানদী সমূহ মধুপুর বনভূমি বিীর্ণ করিয়া সাগরোদেশে প্রবাহিত হইত। কিন্তু ব্ৰহ্মপুত্র ও গাড়ো পৰ্ব্বতের অবস্থানের বিশেষত্ব হেতু নদী প্রবাহ এতদঞ্চল কৰ্ত্তন করিবার সুবিধা প্রাপ্ত হয় নাই। পক্ষান্তরে মধুপুর অঞ্চলস্থিত রক্তবর্ণ মৃত্তিকারাশি সুৰ্ম্ম, মেঘনাদ ও গঙ্গার স্রোতে বাহিত মৃত্তিক রাশি হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন। সুতরাং সমুদয় বিষয় বিশেষভাবে পর্যালোচনা করিলে ব্ল্যানফোর্ডের উপেক্ষিত তৃতীয় সিদ্ধান্তটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ও সমীচীন বলিয়া মনে হয়। ১৮৭৭ খৃঃ অব্দে স্বৰ্গীয় দীননাথ সেন মহোদয় মধুপুরের বনভূমি পরীক্ষা করিয়া এই খানে লৌহ খনি আবিষ্কৃত হইতে পারে বলিয়া মন্তব্যগ্রকাশ করিয়া ছিলেন। উক্ত মস্তব্যের উপর নির্ভর করিয়া স্থান অমুসন্ধান ও পরিদর্শন জন্য গবমেণ্ট কর্তৃক একজন রাসায়ণিক পরীক্ষক নিযুক্ত হন। তিনিও সেন মহাশয়ের মতের সমর্থন করিয়াছিলেন । এই বনভূমি “গড়গজালি” বলিয়া সুপরিচিত। এই গড়ের গজারি বৃক্ষ দ্বারা ঘরের খাম প্রস্তুত হইয়া থাকে। জালানিকাষ্ঠ রূপেও ইহা ব্যবহৃত হয়। পূৰ্ব্বে এতদঞ্চলে হাতীর খেদা প্রস্তুত হইত এবং তাহাতে অনেক বস্ত হস্তী স্থত ইষ্টত। বর্তমান সময়ে এই স্ববৃহৎ বনভূমি হইতে হস্তী একেবারে অদৃপ্ত হইয়াছে, হিংস্ৰজন্তুর ও তেমন প্রাচুর্ঘ্য পরিলক্ষিত হয় না।