পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ অঃ ] শিল্প। ২২৩ বিজয় গুপ্তের পদ্মাপুরাণ পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, বাণিজ্য বাপদেশে দক্ষিণ পাটনে গমনোপ্তত চাদসাগর বর্দ্ধকী আনিয়া বিবিধ ডিঙ্গা প্রস্তুত করিয়া ছিলেন। ঐ ডিঙ্গাগুলি বিবিধ পণ্যসম্ভারে পরিপূর্ণ করিয়া তিনি দক্ষিণপাটনে যাত্রা করিয়াছিলেন ; কোন কোনও নৌকা বৃক্ষরাজি পরিপূর্ণ, কোনওটতে বা হাট বাজার বসিত। তৎকালে “চন্দন কাঠে গুড়া আর ডালি” প্রস্তুত করিবার রীতি প্রচলিত ছিল। বঙ্গে বার ভূঞার আধিপত্য কালে খিজিরপুর, বন্দর, শ্রীপুর ও ধাপ প্রধান নাবিস্থান ছিল । . কার্ভালোর সহিত আরাকান রাজ সেলিম সার যে ভীষণ জলযুদ্ধ হইয়াছিল তাহাতে কার্ভালোর রণতরী সমূহের কতক ভগ্ন ও কতক নষ্ট হইয়া গেলে, তিনি আপনার নীে শ্রেণী গঠনের জন্ত শ্ৰীপুরে উপস্থিত হষ্টয়াছিলেন বলিয় অবগষ্ট হওয়া যায়। মগ ও পর্তুগীজ প্রভৃতি জলদস্থ্যর উৎপাত নিবারণের জন্ত মোগল \ শুবাদার গণ নীেবলের যথেষ্ঠ উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন। নবাব মীরজুস্নার আসাম অভিযান সময়ে এবং সায়েস্তার্থীর চট্টগ্রাম অধিকার কালে ঢাকার নেী বলের যথেষ্ঠ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। টেভারণিয়ার যে সময়ে ঢাকায় আগমন করিয়াছিলেন তৎকালে এখানে বহুসংখ্যক সূত্রধর নবাব সায়েস্তাথার আদেশ মতে নেীক প্রস্তুত করিবার জন্ত নিয়োজিত হইয়াছিল । তিনি এখানে সূত্রধরের সংখ্যাধিক্য সন্দর্শন করিয়াছিলেন বলিয়া অবগত হওয়া যায় (১)। (5) “There is but one continued row of houses separated one from the other, inhabited for the most part by carpenters, that build galleys and other small boats”. Traverniers Tavels Book I. Page 103. Bangabashi edition,