পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo's অভিমুখে যাতায়াত করিতে পারা যায়। অতি অগ্রশস্ত ও বক্রগতি সম্পন্ন হইলেও এই খালট অত্যস্ত গভীর। ইহার দৈর্ঘ্য ৬ মাইল । ইছামতী আকিয়া বাকিয় ধীর মন্থরগতিতে প্রবাহিত। ইছামতী হইতে দুইট ক্ষুদ্র পয়ঃপ্রণালীর উদ্ভব হইয়া সাপুরের কিঞ্চিৎ নিয়ে ধলেশ্বরীয় সহিত মিলিত হইয়াছে। এই দুইটা খাল দিয়া কেবলমাত্র বর্ষাকালেই ডিঙ্গি নৌকা যাতায়াত করিতে পারে। নবাবগঞ্জের নিকটস্থ ইছামতীর গভীরতা শীতকালে এক হস্তের অধিক নহে ; কিন্তু সাবদৗচড় অথবা মেগালার নিকটবৰ্ত্তী নদীটি গভীরতর। ঐ শাখা দুইটা গঙ্গর সন্নিধ্যে কি পুর নামক স্থানে সম্মিলিত হইয়াছে, এবং ইছামতীর প্রধান প্রবাহটি পাথর ঘাটার (১) সন্নিকটে ধলেশ্বরীর স্রোত মধ্যে বিলীন হইয়াছে।” "সাপুরের (২) সন্নিকটে ধলেশ্বরী হইতে অপর একটা খাল উৎপন্ন হুইয়া ইছামতীর সহিত ধলেশ্বরীর সংযোগ ঘটাইয়াছে। এই খাল বারমাসই নৌবহন-যোগ্য। সাপুরের ৪॥• মাইল দূরবর্তী স্থান হইতে গাজীখালি নদীর উদ্ভব হষ্টয়া বুড়িগঙ্গার সহিত ধলেশ্বরীর সংযোগ সাধন করিয়াছে। কুরুয়ার সন্নিকটে এই নদী আবার ধলেশ্বরী হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িয়াছে। গাজীখালির কিঞ্চিৎ পশ্চিমে হীরা ও কনুই নদীদ্বয় ধলেশ্বরীতে পতিত ইয়াছে” (৩) । “পয়লাপুরের ৭ মাইল উত্তর পশ্চিম দিকে, চাকা ও রাজসাহি বিভাগদ্বয়ের সীমান্ত স্থানে, গোয়ালপাড়া নামক স্থান অবস্থিভ। এই স্থানেই আনিয়াদ ও করতোয়াগঙ্গা মিলিত হইয়াছে”। ( ১ ) পাথরঘাটার দুইটী মসজিদের বিষয় রোশল উল্লেখ করিয়াছেন। (২) সাপুরের প্রাচীন মঠের বিষয় রেণেল উল্লেখ করিয়াছেন। ৩) রেশেলের দ্বাদশ সংখ্যক মানচিত্র দ্রষ্টব্য।