পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় অঃ } উষ্ণোংস ও নদনদী। ళి: দ্যায় এরূপ সুবিশাল নদের প্রবাহ অতি মন্থর ; এবং প্রবাহও একটি মাত্র থাতমধ্যে নিবন্ধ না থাকিয়া বহুসংখ্যক শাখানদী ও নালার কৃষ্টি করিয়াছে। শ্ৰীহট্ৰন্থ ঝিলসমূহ হইতে আনীত উদ্ভিজ্জও জাস্তব পদার্থের সংমিশ্রণ হেতু এই নদীর জল ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ এবং অপেয় । কিন্তু এজন্তই মেঘনাদে মৎস্তাধিক্য পরিলক্ষিত হইয় থাকে। পৃথিবীর অন্ত কোনও স্রোতস্বতীতেই মৎস্তের এরূপ প্রাচুর্য্য দৃষ্ট হয় না। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে পশ্চাত্য পণ্ডিতগণ মেঘনাদকে Cosmin বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন (১)। মেগেস্থেনিস এই নদীর নাম দিয়াছেন “মেগোন” (২) ! পদ্মা-পদ্মানদী, পাবনা ও ফরিদপুর জেলার সীমারূপে আসিয়া ঢাকাজেলার পশ্চিম সীমায় যবুনার সহিত মিলিত হইয়াছে। মুগিডাঙ্গার নিকট “ভেলবারিয়া" ফ্যাক্টরির উত্তর পশ্চিমাংশ স্পর্শকরিয়া গোয়ালনের নিকট যবুনার সহিত ইহার সম্মিলন ঘটিয়াছে। এই সংযোগ সাধারণতঃ “বাইশকোদালিয়ার মোহানা” নামে পরিচিত। বর্ষার সময়ে উছার জলস্রোতঃ এরূপ প্রবলভাবে দক্ষিণদিকে প্রবাহিত হইতে থাকে যে অতি বেগগামী আসামষ্টিমার পর্য্যন্ত উছা ভেদ করিয়া স্রোতের বিপরীত দিকে অগ্রসর হইতে পারে না। ১৮৬৯ খৃঃ অন্ধের এক রিপোর্ট পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, ঐ বৎসর ৬ খান ফ্লট সহ ষ্টীমার পদ্মা-যুবুনা-সংযোগ ভেদ করিয়া উঠিতে না পারায় কতকমি পৰ্য্যস্ত গোয়ালন্দে লঙ্গর করিয়া থাকিতে বাধ্য হয়। কর্ণেল গেইন কর্তৃক পরিমাপে তৎসময়ে গোয়ালনের নিকটে পদ্মার প্রশস্ততা গ্রীষ্ম কালেও ১৬•• গজ বলির অবধারিত হয়। (*) see Malte Brun's ಚ್ಟೆ' vol III, Page 122• (*) Asiatic Researches vol XIV.