পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয় । আমাদের দেশে ইংরেজের আগমনকালে আমাদের প্রাচীন পদ্ধতির বিরুদ্ধে একটা প্রবল বিদ্রোহ ঘোষিত হয় । দেশের প্রচলিত ধম ও সমাজব্যবস্থায় একটা পরিবতন ঘটে । তার পর পরমহংস রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ ধমের নাতন ব্যাখা দিতে আরম্ভ কবেন । ফলে সমন্বয় সাধিত হয়। চীনেও ধম, সমাজ, সাহিত্য ও শিক্ষা- সবদিক দিয়াই সংস্কাবের একটা প্রবল আন্দোলন চলিয়াছে ৷ বহদিনের ঘািমস্ত চীন আজ জাগিয়া উঠিতেছে । ছাত্রগণই এই আন্দোলন চালাইতেছে । এজন্য পgাশ খানি কাগজ বাহির হইয়াছে । ডা. সান-ইয়েং-সেন এই নাতন আন্দোলনের জন্মদাতা । অনেকে ইহার মধ্যে বলশেভিকবাদ আরোপ করিতেছেন । কিন্তু ইহা ঠিক নহে। হয়তো এই আন্দোলনেব কোনো কোনো দিক বলশেভিকবাদের অন্যােরাপ হইতে পারে । কিন্তু সমগ্র আন্দোলনের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা বৰ্তমান । ভারতের যােব-আন্দোলনেও আগাগোড়া এইরূপ একটা ধারাবাহিকতা আছে । এই দিক দিয়া উভয় দেশের মধ্যে একটা সাদশা দেখিতে পাওয়া যায় { যাব-সমান্দোলন সম্বন্ধে বিরুদ্ধে মত আমাদের দেশে কেহ কেহ মনে করেন, এই বর্তমান আন্দোলন একটা হািজক মাত্র, ইহার পিছনে কোনো সত্য নাই । ইহা বাহিরের আঘাতের একটা চাgল্য মাত্র । ইহার মধ্যে অন্তবের চৈতন্য নাই, ইত্যাদি । অনেকে এ কথাও বলেন, পাশ্চাত্য প্রভাব চলিযা গেলে আমরা আমাদের অন্ধকার যাগে চলিয়া যাইব । আমাদের কোনো কম প্রচেষ্টা থাকিবে না । সতরাং ইংরেজ থাকিতে থাকিতেই আমাদের উন্নতি করিতে হইবে । কিন্তু ইহা ঠিক নহে। ইংরেজ ও মসলমানের প্রভাৰ আমরা সাপটে দেখিতে পাইতেছি, এই আন্দোলনের ফলে জাতির জীবনে নিত্য-নািতন সস্টি হইতেছে । বৌদ্ধযাগের আমল হইতে আজ পর্যন্ত হিন্দ, সমাজকে ধংস করিবার জন্য কত চেণ্টা হইয়াছে। কিন্তু সমস্তই ব্যথা হইয়াছে । সাহিত্য, শিল্প, দশন, সমাজ, ধর্ম ও রাজনীতি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই চিরদিন নব নব সন্টি হইয়া আসিতেছে। কাজেই ইংরেজ না। আসিলেও ইহা ঘটিত । আমরা ইংরেজদের অনেক প্রভাব আয়ত্ত করিয়া লইয়াছি এ কথা সত্য, মসলমানও এ দেশে আসাতে আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সমাজ SRS