পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতনবােপ পাইয়াছে। বাহিরে হিম্মদ ও মসলমানে যতই বিরোধ থাকুক-না কেন, সমগ্ৰ জাতির শিল্প-কলা-সাহিত্যের মধ্যে, জাতির অন্তরাত্মার মধ্যে একটা মৌলিক একতা আছে । সেখানে কোনো বিরোধ নাই । আজ ভারতের শিল্পের, ভারতের সংগীতের কোনো জাতিভেদ নাই । যাগের পর যােগ এইরুপ নতেন নািতন সন্টি হইতেছে, তাই জাতি বাঁচিয়া আছে। তরণের অমরত্ব ও সৰুজনীনতা এই নাতন সন্টির ভার তরণের উপর । তরণের কাজ নািতন সমাজ সন্টি। সমাজ সন্টি মানেই মানষে সন্টি- মানষে লইয়াই সমাজ । মানষে সন্টির পাবে চিন্তা ও কলপমা-রাজ্যে সন্টির প্রয়োজন- এই সন্টির চেণ্টা সব কালে, সব দেশে তরণের মধ্যে চলিয়াছে । তরণ অমর, তরণ চিরকাল বাঁচিয়া আছে, বাঁচিয়া থাকিবে । তরণের দেশ নাই, কাল নাই, জাতি নাই । তরণ তরণ-ই। তরণকে কোনো গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ করা যায় না। সে সবজনীন- আজ পথিবীর সমস্ত তরণে সমাজ একইরােপ চিন্তা করে, প্ৰাণে প্ৰাণে একইরােপ অন্যভব করে । সকল তরণের হৃদয়তক্ষেত্র একই সাের ধৰনিত হয় । এই তরণদের আজ জাতি গঠনের মহাসাধনায় মনে হইতে হইবে । তরণের সাধনা সাধনার অর্থ বনে জঙ্গলে গিয়া যোগ অভ্যাস করা নহে । আজ সাধনার ভিন্ন অথ । খাঁটি মান যে তৈরি করা এখন কঠিন । খাঁটি মানষ তৈয়ারি করিতে পারিলেই জাতি গড়িয়া উঠিবে। যৌবনের প্রেরণা সমগ্ৰ জাতির মধ্যে যৌবনের প্রেরণা জাগাইতে হইবে । আজ যখন চারিদিকে তাকাই, সবােত্র অভাব-অভিযোগ, দৈন্য-দীদশা দেখিয়া শোকে, দঃখে মিয়ামাণ হই। শােধ ভাবি কিরাপে এই জাতিকে আমরা গড়িয়া তুলিব । তরণের উপব এই মহান কাজের ভার ন্যস্ত হইয়াছে । যাহার মধ্যে যৌবন নাই, সে নিরাশ হইবে, ভয় পাইবে । তরণের কাজ বাস্তবকে অস্বীকার করা । তরণকে শক্তি সঞ্চয় করিতে হইবে । নিজের ও দেশের উপর বিশ্ববাস ও শ্রদ্ধা, ইহাই ܓܔ