পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের জাতীয় অধঃপাতের অনেক কারণ আছে, তন্মধ্যে একটা প্রধান কারণ এই যে, আমাদের দেশে ব্যক্তির ও জাতির জীবনে প্রেরণা বা initiative হ্রাস পাইয়াছে । আমরা বাধা না হইলে এবং কশ্যাঘাত না খাইলে সহজে কিছ করিতে চাই না । বৰ্তমানকে ট্রপেক্ষা করিয়া ভবিষ্যতের পানে তাকাইয়া যে অনেক সময়ে অনেক কাজ করা দরকার এবং বাস্তবের দৈন্যকে অগ্রাহা করিয়া আদশের প্রেরণায় জীবনটাকে অনেক সময়ে যে হাসিতে হাসিতে বিলাইয়া দেওয়া প্রয়োজন--- এ কথা আমরা কাষত স্বীকার করিতে চাই না । এইজন্য প্রেরণা বা unitiative-এর অভাবের দরবন, ব্যক্তি ও জাতির ইচ্ছাশক্তি ক্রমশ ক্ষীণ ও নিস্তেজ হইয়া পড়িয়াছে। বান্তির ও জাতির জীবনে ইচ্ছাশন্তি পােনরায় জাগাইতে না পারিলে মহৎ কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হইবে না । শােধ আদশের প্রেরণাতেই ইচ্ছাশক্তি জাগরিত হয় । আমরা আদশ ভুলিয়াছি বলিয়াই আমাদের ইচ্ছাশন্তি আজ এত ক্ষীণ । বতমানের ভাব-দৈন্য বিদারিত কবিয়া নিজ নিজ জীবনে আদশের প্রতিষ্ঠা না করিতে পারিলে আমাদের প্রেবণশক্তি জাগিবে না- এবং প্রেরণাশন্তি না জাগিলে চিন্তাশক্তি ও কম প্রচেষ্টা পনরামজীবিত হইবে না । সমাজের পনগঠনের জন্য আজকাল পাশ্চাত্যদেশে নানা প্রকার মত ও কমপ্রণালীর প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায়, যথা- Socialism State Socialism, Guild Socialism Syndicalism, Philosophical Anarchism, Bolshevism, Fascism, Parliamentary Democracy, Aristocracy, Absolute Monarchy, Limited Monarchy, Dictatorship ट्रेऊाप्र । এই-সব মতবাদের বিষয়ে আমি সাধারণভাবে দই-একটি কথা বলিতে চাই । প্রথমত, সকল মতেব ভিতব অল্পবিস্তর সত্য আছে, কিন্তু এইক্রেমোন্নতিশীল জগতে কোনো কোনো মতকে চবম সত্য বা চরম সিদ্ধাস্পত বলিয়া গ্রহণ করা বোধ হয় যক্তিসংগত কাজ নয় ; দ্বিতীয়ত, এ কথা ভুলিলে চলিবে না যে কোনো দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমলে উৎপাটন করিয়া আনিয়া বলপািবক অন্যদেশে রোপণ করিলে সফল না ফলিতেও পারে । প্রত্যেক জাতীয় প্রতিষ্ঠানের উৎপত্তি হয়। সেই দেশের ইতিহাসের ধারা, ভাব ও আদশ এবং নিত্যনৈমিত্তিক জীবনের প্রয়োজন হইতে । সতরাং আমাদের মনে রাখিতে হুইবে যে, কোনো প্রতিষ্ঠান গাড়িতে হইলে ইতিহাসের ধারা, পারিপাশিব’ক অবস্থা ও বতমানের আবহাওয়া অগ্রাহ্য করা সম্ভব বা সমীচীন নয় । ONà