পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাম দেওয়া যায়। যােব-আন্দোলন শািন্ধ সংস্কার কারিয়াই ক্ষান্ত থাকে না, উহ! পরাতনকে ভাঙিয়া চুরিয়া একটা নািতন সন্টি করে। যােব-আন্দোলনের সন্টির পাবে চাই বতমান অবস্থাজনিত একটা চাণ্টল্য, একটা অধৈয্যের ভাব । আজিকার যােব-আন্দোলন বিংশ শতাব্দীর বা পাশ্চাত্য দেশের সন্টি নহে । এইরােপ আন্দোলন প্রতি যাগে প্ৰতিদেশেই হইয়াছে। সক্রেটিস ও বন্ধের সময় হইতে মানব-সমাজ উচ্চ আদশে অন্যপ্রাণিত হইয়া যাগে যাগে সমাজকে নািতনভাবে গড়িবার চেণ্টা করিয়াছে। এই যাগের যােব-আন্দোলনের মলেও ঠিক সেই আদশ ও চেন্টা আছে । রাশিয়ার বলশেভিকবাদ, ইটালীর ফ্যাসিস্ট আন্দোলন কিংবা তুরস্কের তরণ আন্দোলন অথবা চীন, পারস্য বা জামানীর তরণ আন্দোলন, যে দিকেই দণ্টিপাত করুন-না কেন সবােত্রই এক মনোভাব, আদশ ও উদ্দেশ্য নিহিত দেখিবেন। যেখানেই প্রাচীন নেতাদের নিদিষ্ট পথ সাফল্য লাভ করিতে পারে নাই সেইখানেই যািবকরা সমাজকে নািতন ভাবে গড়িয়া উহাকে নব কলেবর দান করিয়াছে। শাধ যে জামানী, বাঁশিয়া, ইটালী, চীন পারস্য ও আফগানিস্তানের যািবকরা জাগি যাছে তাহা নহে । আমাদের দেশে সবপিনবিলাসীদের মধ্যেও জাগরণের সাড়া পড়িয়া গিযাছে। এই জাগরণ শােধ বাহিরের জাগরণ নহে, ইহা প্রাণের জাগবাণ । ভারতের যাব-সম্প্রদায় প্রাচীন নেতাদের প্রতি নিভরশীল হইযা এখন আর অশ্বধভাবে তাহদের পদাঙ্ক অনসরণ করতে রাজী নহে । তাহারা ইহা বেশ বঝিয়াছে যে, তাহাদিগকেই নতুন ভারত গড়িতে হইবে, তাহাদিগকেই ভারতবৰ্ষকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করিতে হইবে । তাহারা ইহার দায়িত্ব গ্রহণ ও ফলাফল হৃদয়ঙ্গম করিয়া ভবিষ্যৎ কায্যের জন্য আপনাদিগকে প্রস্তুত করিতেছে। এই সংকট মাহতে ভারতের শািভকামী’ সকলেরই এই আন্দোলন সম্পর্বন্ধে নিভয়ে নিজ নিজ মত প্রকাশ করা উচিত । আন্দোলনের দোষগণ বিশেষভাবে বিশেলষণ করিয়া ইহাকে সপথে পরিচালিত করিতে হইবে । আমি আজ দেশের মধ্যে দাইটি আন্দোলন বা দাইটি দেশের চিন্তাধারার প্রাধান্য দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছি। এই বিষয়ে আমি যে দাইটি চিন্তাধারার উল্লেখ করিলাম তাহার একটি সবরমতী ও অপরটি পশ্চিডচেরী হইতে উদ্ভত । দাই চিন্তাধারার মলে দার্শনিকতা কতখানি আছে। এ স্থলে আমি তাহার আলোচনা করিব না । আমি সংসারের লোকের মতো বাস্তবিক কায কারিতার দিক হইতে উহাদের কতটা মাল্য আছে। এখানে তাঁহারই উল্লেখ করিব । ලන