পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধনিক উপায়ে সংগ্ৰাম করিতে হইবে- বাজনীতি ও অর্থনীতি উভয় দিকেই ইহা সমানভাবে প্রযোজ্য । গো-যানের দিন চলিয়া গিয়াছে এবং তােহা আর ফিরিয়া আসিবার সম্পভাবনা নাই। যতদিন না। সমগ্র পথিবীতে আম্পািতরিক ভাবে নিরস্ত্রীকরণ নীতি গহীত হইবে ততদিন ভারতবর্ষকে আধানিকভাবে স, সািজত হইয়া থাকিতে হইবে । আমি ভারতের অতীতকে মািছয়া ফেলিবার পক্ষপাতী নাহি । ভারতের নিজস্ব বিশিস্ট পথে তাহাকে তাহার বৈশিস্ট্য রক্ষা ও তাহার উৎকষ সাধন করিতে হইবে । দশন, সাহিত্য, কলাবিদ্যা ও বিজ্ঞানে পথিবীকে আমাদের শিখাইবার অনেক জিনিস আছে । এককথায় আমাদের প্রাচীন আদশ ও আধনিক বিজ্ঞানের বর্তমান ও অতীতের মধ্যে আমাদিগকে একটি সামঞ্জস্য বিধান করিতে হইবে । সকল জাতির মধ্যে এই কাৰ্য্য করিবার যোগ্যতা আমাদের অধিক আছে । আমাদেব দেশেব মনীষী ও কমী গণের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই গরতব কায আরম্ভ করিয়াছেন ! আমাদিগকে একদিকে যেমন “বৈদিক যাগে ফিরিয়া যাও” চীংকাবে বাধা দিতে হইবে, তেমনি অপব দিকে আধনিক ইউরোপের অন্যাকরণে অর্থশান্য পরিবর্তনের বিরোধিতাও করিতে হইবে । দেশের কোনো স্থানেই তরণ-আন্দোলন ষাহাতে কেবল মাত পরামশ এবং আলোচনার মধ্যে নিবন্ধ না থাকে। সে বিষয়ে আমাদের সব দাই সতক দণ্টি রাখিতে হইবে । কেবল মাঝে মাঝে নিদিষ্ট পথানে মিলিত হইয়া বিভিন্ন সমস্যা সম্বন্ধে আলোচনা করিলে এবং প্রস্তাবাদি গ্রহণ করিলে তাহার ফলে শািন্ধ একটি বিতর্ক-সমিতি গড়িয়া উঠিবে। অবশ্য ইহাতে দেশের রাজনৈতিক জীবন আরো প্রেরণা লাভ করিবে । কিন্তু শােধ বিতক-সভা থাকিলেই চলিবে না । যািবকদের অগ্রসর হইতে হইবে । তাহাদিগকে সমস্ত প্রস্তাব কাষে পরিণত করিব্যর জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিতে হইবে । এইভাবেই আজ বোম্বাইয়ের যাব-আন্দোলন এত শক্তিশালী হইয়া দাঁড়াইয়াছে । আরো একটি বিষয়ে আমি যবেকগণকে সতক করিয়া দিব । অনেক সময় কোনো আন্দোলনের প্রারম্ভে যথেস্ট উৎসাহ উদ্দীপন পরিলক্ষিত হয় । কিন্তু কয়েক বৎসরের মধ্যে সেই নবজাগ্ৰত উৎসাহ উদ্দীপনা কোথায় মিলাইয়া যায়, আলস্য এবং জড়তা ধীরে ধীরে আসিয়া প্ৰবেশ করে এবং আন্দোলনের সমস্ত প্ৰাণ এবং শান্তি নন্ট 8S