পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়া যায় । আমি আশা করি, আমাদের তরুণ-আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এরপ হইবে না । বিশ্ববব্যাপী তরুণ-আন্দোলন আজ পথিবীর বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ইতিহাসে নিতেন অধ্যায়ের সচনা করিয়াছে । এশিয়া এবং ইউরোপের সমস্ত দেশেই রাজনৈতি, শ, সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক বিপলবে যবেকগণ চিরদিনই এক প্রধান সথান অধিকার করিয়া আসিতেছে । মহাযান্ধের পর জামানীর অর্থনৈতিক পািনর খান, আয়াল্যান্ডের রাজনৈতিক মন্তি, মিশরের স্বাধীনতা আন্দোলন, ইটালীর ফ্যাসিস্ট আন্দোলন, আফগানিস্তান এবং তুরস্কের নবজাগরণ, চীনের পািনর খান- সমস্তই ঐ-সব দেশের তরণ আন্দোলনের ফলে সম্ভব হইয়াছে। আবার মনে হয়, যে-সব দেশ ইতিপবে স্বাধীনতা অজািন করিয়াছে, সেই-সব দেশ অপেক্ষা বৈদেশিক প্রভুত্বাধীন-জজরিত ভারতবষেই তরণআর্শেদালনের প্রয়োজন বেশি । বোম্বাই প্রাদেশিক যাব-সংঘের সভাপতি রূপে আমার যে সামান্য অভিজ্ঞতা হইয়াছে তাহার ফলে আমি গবের সহিত এই মত পোষণ করি যে এদেশের যবেক পথিবীর অন্য কোনো দেশের যােবক অপেক্ষা কোনো অংশেই হীন নহে ; বরং অনেক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ । অন্য দেশের যািবকের ন্যায় ভারতের যবকও কত ব্যনিৰ্ম্মঠা, অবিচল সর্বদেশপ্রেম, সাহস, আত্মত্যাগ এবং সবোপরি স্বাধীন হইবার তীব্র আকাংক্ষা ইত্যাদি মহৎ গণে ভাষিত । ভারতের যােব-আন্দোলনের সাফল্যের জন্য এখন যে জিনিসগলির একান্ত প্রয়োজন তাহা এই : একটি উপযক্ত সনিয়ন্ত্রিত এবং সমসংবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, একজন সাহসী বীর ও নিঃস্বাথ নেতা এবং সর্বোপরি বতর্তমান মানসিক দণ্টি এবং দষিত রাজনৈতিক আবহাওয়ার পরিবতন । দীঘদিন যাবৎ বৈদেশিক শাসনের ফলে জাতির মানসিক ও শারীরিক এবং নৈতিক অধঃপতন অবশ্যম্ভাবী । আজ ভারতেরও এই অবস্থা হইয়াছে । ব্রিটিশ রাজত্বের ফলে যে কেবল এই বিশিস্ট সভ্যতাসম্পন্ন প্রধান জাতিরই সব প্রকার অধঃপতন হইয়াছে তাহা নহে, ইহার বিষময় ফল সমগ্ৰ বিশ্ববিমানবসমাজের উপরে গিয়া ও পড়িয়াছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমল হইতেই গভনমেশষ্ট এদেশের শিক্ষা সম্বন্ধে বে নীতি অনসরণ করিয়া আসিতেছে তাহাতে পািন্টই দেখা যায়, এ দেশের 8R