পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোককে প্রকৃত শিক্ষা দিয়া, অর্থাৎ, তাহদের নৈতিক, মানসিক এবং শারীরিক উন্নতি সাধন করিয়া তাহাদিগকে যথাৰ্থ দেশহিতৈষী অথবা উপযন্ত নাগরিক করিয়া তোলা গভন মেন্টের উদ্দেশ্য নহে। ল'ড মেকলের ভাষায় বলিতে গেলে, তাহাদের উদ্দেশ্য শািন্ধ সরকারী চাকুরি করিবার জন্য কতকগলি কেরানী সস্টি করা । প্রত্যেক সভ্য দেশেরই শিক্ষার আদশ বিবিধ- একটি জীবিকা অজািন, অন্যটি চরিত্র গঠন । কিন্তু এ দেশে শিক্ষার এই দ্বিতীয় দিকটি শািন্ধ উপেক্ষিতই হয় না, পরম্পতু এদিকে কোনো উৎসােহই প্রদান করা হয় না । এ দেশের শিশগণ প্রথম হইতেই এই শিক্ষালাভ করে যে ভারতের প্রতি ইংরেজ রাজাদের দয়া অসীম, তাঁহার এ দেশে সখ-শাশিত আনয়ন করিয়াছেন, এবং যদি তাঁহারা এ দেশকে রক্ষা না করেন তবে বিষম বিপদ উপস্থিত হইবে । প্রথম হইতেই শিশর এই ধারণা হয় যে, ব্রিটিশ শাসনের সাফলের জন্য আমাদের ভগবানের নিকট কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, এবং সে মনে মনে এই আশন্কা পোষণ করে যে এই রাজত্ব যেন চিরকাল বজায় থাকে, কেননা ইহা না থাকিলে দেশের সখে, শান্তি, নিরাপত্তা কিছই থাকিবে না । সমস্ত পাঠ্য পািকস্তকই এই ধরনের অর্থহীন বাজে কথায় পরিপািণ থাকে । বেচারা শিক্ষক ছাত্রগণকে এই শিক্ষা প্ৰদান করেন, কিন্তু তিনি যাহা শিক্ষা দেন তাহার একটি কথাও বিশ্ববাস করেন না ; সম্ভবত, তিনি তাঁহার দদশার কথা মামে মামে অন্যভব করেন । কিন্তু কী করিবেন তাঁহার কোনো উপায় নাই । হয় তাঁহাকে এই বিশ্ৰী কাজ লইতে হইবে, নতুবা চাকুরি হইতে চিরবিদায় লাইতে হইবে । এইভাবে ভারতীয় শিশকে তাহার ছাত্রজীবন আরম্ভ করিতে হয় এবং এই অনির্ণটি তাহার বিশববিদ্যালয়ের উপাধি পাওয়া পায*ত চলে । fiTCtr Ys y 80