পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতে পারি যে প্রাচীন কাল হইতে বিভিন্ন জাতির যে অদ্ভুত্থান ও পতন দেখা যাইতেছে। ইহার পশ্চাতে বিধির কোনো বিধান নাই। এ বিষয়ে পাশ্চাত্য দেশে বহা চিন্তা ও গবেষণা হইয়া গিয়াছে এবং কোনো কোনো বৈজ্ঞানিক এই অভু্যাখান ও পতনের কারণ নির্দেশ করিতে পারিয়াছেন বলিয়া মনে করেন। তাঁহাদের গবেষণার সারমর্ম এই যে, ব্যক্তির জীবনে যেরূপে জন্ম মাতু DBDE DBLSSSDuDuDB DuSBD BBSDB BeBS DDDB C DD DBBD S uDuuuS শক্তি হ্রাস পাইলে ব্যক্তি ষেরাপ মাতুমখে পতিত হয়, জাতিও তদ্রুপ মািমষ হইয়া পড়ে। কখনো জাতিবিশেষ ধরাপষ্ঠ হইতে একেবারে বিলপ্ত হইয়া যায় এবং মাত্র ইতিহাসের পাঠায় তার অস্তিত্বের নিদশন পাওয়া যায়, কখনোবা জাতিবিশেষ একেবারে বিলপ্ত না হইয়া নররূপী পশ্যর মতো কোনো প্রকারে জীবনধারণ করিতে থাকে। যে জাতি নিতান্ত ভাগ্যবান সে জাতি মাতুর দ্বারদেশে উপনীত হইয়াও আবার পািনজৰ্ম্মম লাভ করে । কিরুপ অবস্থায় জাতির পািনজম হওয়ার সম্পভাবনা আছে তাহাও কোনো কোনো বৈজ্ঞানিক নির্দেশ করিবার চেণ্টা করিয়াছেন । বিভিন্ন জাতির রান্ত সংমিশ্রণের ফলে এবং বিভিন্ন শিক্ষার (culture) সংস্পশের ফলে জাতির এবং জাতীয় সভ্যতার পানজন্ম হইতে পারে । পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকের বাণী আমরা গ্ৰহণ করি আর না করি এ-কথা বোধ হয় স্বীকার করিতে হইবে যে ভারতবর্ষে বিভিন্ন জাতির মধ্যে রান্ত সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে এবং বিভিন্ন জাতির আগমনের ফলে এই ভারতভমি বিভিন্ন শিক্ষাধারার সঙ্গমস্থলে পরিণত হইয়াছে । হয়তো এই সংমিশ্রণের দরবনই ভারতীয় জাতি ও ভারতের সভ্যতা বার বার মাতুমখে পতিত হইয়াও পািনজ ক্ষম লাভ করিয়াছে এবং তাহারই ফলে এই প্রাচীন জাতি অমর হইয়া পথিবীর বকে বাস করিতেছে। A বিভিন্ন জাতি বা বিভিন্ন বণের মধ্যে রান্ত-সংমিশ্রণের পরিণাম সম্পবন্ধে আমাদের মত যাহাই হউক-না কেন, এ-কথা বোধ হয় কেহ অস্বীকার করবে: না যে বিভিন্ন সভ্যতা ও শিক্ষার (culture) সংঘাষের দরবন চিন্তাজগতে বিপ্লব উপস্থিত হয় । এই বিপ্লবই জাতির চৈতনের লক্ষণ । ইংরেজ এদেশে আসার পর আমাদের চিন্তাজগতে একটা বড়ো রকমের ওলট-পালট হইয়াছিল। ইহা বত মান যাগের নবজাগরণের সত্ৰপাত। তারপর হইতে আমরা অন্তদান্টি ফিবিয়া পাইযাছি, নিজেদের বতর্মান অবস্থা বিশেলষণ করিয়া দেখিতে শিখিয়াছি এবং আমাদের বতর্তমান অবস্থার সহিত একদিকে আমাদেব প্রাচীন SS