পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা কী করতে পারি অাজ উৎসব উপলক্ষে আপনারা যে আমাকে আমন্ত্রণ করেছেন। সেজন্য আপনারা আমার কৃতজ্ঞতা গ্ৰহণ করন । ইতিপবে এই বেহালায় এলেও কোনো সভায় যোগদান করবার, সকলের সঙ্গে সন্মিলিত হবার কোনো সহযোগ ঘটে নি, তাই আজি সানন্দে আপনাদের এ আমন্ত্রণ গ্ৰহণ করেছি । সকলের সঙ্গে মিলিত হবার সংযোগ পেয়ে আনন্দলাভ করেছি। দেশে আজ অসংখ্য সমিতি গড়ে উঠেছে । সকলেই এইভাবের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। এই কাজ যে কত বড়ো, কত বিরাট তা দেশের অবস্থা একটু চিন্তা করলে বেশ বঝতে পারা যায়। আপনাদের কাজ দেখে আনন্দ ও আশা পাওয়ার অনেক কিছই আছে । এই কয় বৎসরের মধ্যে যে কাজ করেছেন, তা প্রকৃতই উল্লেখযোগ্য । তবে এও বোধ হয় ববীতে পেরেছেন, যে আরো বেশি চেণ্টা করলে আরো বেশি সফল পাওয়া যেতে পারে । কাব্যাবলী দেখে বোঝা যাচ্ছে, একসঙ্গে অনেকগলি কাজ আরম্ভ হয়েছে। এইরকম সবাতোমাখী কাজ একযোগে আরম্ভ করা সতাই আনন্দের বিষয়, আর এই-ই সকলের আদশ হওয়া উচিত । মানষের সকল অভাব, সকল দিক দিয়ে দীর করবার জন্য সবাংগীণভাবে চেণ্টা হওয়া প্রয়োজন । আমরা সাধারণত ভাবি মণিটভিক্ষা বা অৰ্থ ভিক্ষা দ্বারা সমস্ত কল্যাণ সাধিত হয় । কিন্তু এইটকু ভাবলেই চলবে না । দেখা উচিত আমাদের উদ্দেশ্য কি ? উদ্দেশ্য- অভাব মোচন । কিন্তু অভাব কি ? অভাব- অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ! একযোগে এই অভাব দরি করবার চেণ্টা না হলে, সবই ব্যথ হবে । আনন্দের কথা, আপনাদের এখানে, মস্টিভিক্ষা ভিন্ন আরো নানাভাবের কাব্য অয়লাভ করা হয়েছে । একটা কথা বলতে চাই, এ পর্যন্ত সেবাসমিতিগলি যেভাবে কাজ করে এসেছে, ঠিক সেই ভাবে কাজ করলে চলবে না । এই যে অধিী ভাব, এটা কি করে দর হবে ? প্রতি সপ্তাহে অন্ন অর্থ সংগ্রহ করা হয়, সে ভালো কথা। কিন্তু দেখা দরকার, যাদের সাহায্য করা হচ্ছে, তারা কোনোদিন সর্বাবলম্বী হবে কিনা ৷ সাহায্যপ্রার্থী ছাত্ৰই হোক বিধবাই হোক- তাকে সর্বাবলম্বী করার &