পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিকে দটি দিতে হবে । আপাতত কজনের দঃখ ভিক্ষা করে দাির করলেও দারিদ্র। এ”ত দরি হবে না । দাবিদ্র্য দরি করবার উপায় কি- তাই দেখা উচিত । ১৯২২ সালে বন্যায় উত্তর বাংলা বিপন্ন হয়ে পড়েছিল । সেই বিপন্ন নরনারীর সাহায্যের জন্যতাদের দঃখ দােসর করবার জন্য সারা বাংলায় বিপল চেস্টা হয়েছিল । তাদের অভাব মোচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেনএই বাংলাদেশে বৎসবের পর বৎসর দভিক্ষ, বন্যা দেখা দিচ্ছে। দেশবাসী বিপন্ন হচেছ, কিন্তু এর প্রতিকার কী, সেই সম্পবন্ধে অন্যসন্ধান করা দরকার । তাঁর কথার মম অনেকদিন পরে আমরা বঝতে সক্ষম হয়েছি । জাতির মধ্যেতার কমে ও চিন্তায় এমন একটা নিশ্চেন্টভাব এসেছে, যাতে আমরা কোনো সমস্যার সমাধান করতে চাই না । বন্যা কেন হয়, সেটা অনসন্ধান না করে শধ দঃখ মোচন করতে অগ্রসর হলেই কাজেব সমাধান হবে না। দারিদ্র্য, দাভিক্ষের সম্বন্ধেও এ কথা খাটে । প্রকৃত সেবক হতে হলে দেখতে হবে, এ দদুঃখের কারণ কি, আব্ব কিভাবে সেটা দািব করা যায় ! যদি কারণ নিধারণ করতে সক্ষম না হই, তবে ফলে কিছই লাভ করা যায় না । যারা সমিতির সাহায্য গ্রহণ করে তাদের দিয়ে ঠোঙা তৈরি, সীতা কাটা এমনি ভাবের নানা কাজ করিয়ে নিতে হবে । কুটিরশিল্পের এতে বিশেষ উন্নতি হয় । অন্যদেশে দেশলাই-এর কাঠি, কাগজ প্রভাতি ঘরে ঘরে দিয়ে আসা হয়, তারা অবসর সময়ে সেগালি তৈয়ারি করে। সাইজারল্যান্ডে এই ভাবে আলপিন তৈয়ারি হয় । আমাদের দেশে ও ঢাকার গ্রামে গ্রামে কুটিরশিল্পের সাহায্যে বোতাম প্রস্তুত হয় । এইভাবে অবসব সময়ে কাজ করে লোকে আয়রন্ধি করতে পারে । প্রত্যেক সমিতিরও এই বিষয়ে চেণ্টা করা দরকার । এতে সমিতিরও আয় হয়, আর যারা সমিতির সাহায্য গ্রহণ করে, তারাও ভাবতে পারে যে তারা খেটে খাচ্ছে, তাদের মনের কুঠা দরি হতে পারে । অলস। থাকলে, পবান গ্রহে জীবন ধারণ করলে, মনিষ্যত্বের অপমান করা হয় । DIgnity of labour বলে একটি কথা আছে । সত্যই এ একটা সম্মানের জিনিস । এই মনোভাব দেশের মধ্যে সম্মিট করা দরকার । একটি কথা শানে সখী হলাম যে, জলসন্ত্রের ব্যবস্থা করে আপনারা মেলার সময় কাজ করে থাকেন । এই-সব মেলা হচ্ছে কাজ করবার একটা মস্ত সংযোগ- উপযন্ত ক্ষেত্রে । দেশের সম্বন্ধে কোনো কথা বলতে হলে, এই-সব (S