পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেলা, ম‍ই তার আয়োজন করা দরকার । দেশ-বিদেশ থেকে, কত ভাবের কত লোকেরই না একত্রে সমাবেশ হয়- দেশের লোককে শিক্ষা দিতে হলে এর চেয়ে আবে কৈ সংযোগ পাওয়৷ যেতে পারে ? এখানে Lantern lecture, যাত্রা প্রভাতি দ্বারা সমাজে সংশিক্ষা দেওয়া যায় । Propaganda করবার এই একটা মঙ্গন্ত সংযোগ । তবে, যে দেশে কাজ করতে হবে, সেখানকার আচারঅনঙ্ঠান প্রভাতির দিকে বিশেষ লক্ষ রাখা দরকাব । আজকাল মেলাস্থলে সংশিক্ষাব্য কোনো বন্দোবস্ত থাকে না । কুশিক্ষাই বরং লাভ কববার সংযোগ পাওয়ান্য জীবন কলষিত হয়ে ওঠে । এই-সব ভার আমাদের নিতে হবে । মেলাব এই বিবিধ লোকের মিলনের অপব্যবহাব না হয়ে যাতে সংশিক্ষার ব্যবস্থা হয়, সেই বিষযে দটি রাখতে হবে । এই মেলাই হচেছ, আমাদের দেশোপযোগী শিক্ষার প্রকৃত বাহন । অন্য দেশে অন্য বকম ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের দেশে এই মেলাকেই প্রকৃত সংযোগে পবিণত কবতে, প্রকৃত ব্যবস্থা বলে গ্রহণ কবিতে হবে । অভাবগ্রস্তকে বস্ত্ৰাদি দান খব ভালো ব্যাপার। কিন্তু এই বস্ত্র বাজারে না কিনে যদি সন্তা কেটে, তাঁত রেখে কাপড় বনিয়ে বিতরণ করা যায়, তবে আনন্দ আবে বেশি হয় । আর যারা এই কাজ করে তাদেবও সঙ্গে সঙ্গে লাভ হষ । এইভাবে তাঁতেরও বিস্তারলাভ হতে পারে । নানা কারণে এই বিষয়ে দণ্টি রাখা প্রয়োজন । তারপর রোগ-পরিচযা- রোগীর সেবা-শ্যশ্ৰষ্যা- এ খব। বড়ো কাজ । কিন্তু কাজটা সার্থক করতে হলে, এমন কাজের সচনা করতে হবে, ষাতে রোগের নিবারণ হয়, সাধারণের স্বাস্থ্য ভালো থাকে । এ-বিষয়ে সাধারণের মধ্যে জ্ঞান বিস্তার করতে হবে । ম্যালেরিয়া, কালাজবর, কলেরা প্রভাতি কীকী ভাবে এই-সব রোগ চতুদিকে ছড়িয়ে পড়ে, আলোক-চিত্র সাহায্যে তা ঘরে ঘরে জানানো প্রয়োজন । আর এভাবে কাজ না করলে সেবা কাষ সাৰ্থক হবে না । রোগকে অবিরত সেবা করে পারা যায় না । Health propaganda করা দককার । আজকাল চারিদিকে প্রায়ই Health Exhibition হচেছ, তারই সাহায্যে বস্তুত দিতে পারলে খািব কার্যকরী হয় । এইভাবে সাধারণের মধ্যে জ্ঞান বিস্তার করা বিশেষ দরকার । আর সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন ব্যায়াম-চাচা । আজকাল শিক্ষিত যািবকদের, স্কুল-কলেজের ছাত্রদের দেখলে মনে ভয় হয়, কি করে। এরা জীবনযাত্রার সংগ্রামে জয়ী হয় ! শিক্ষার এমন ব্যবস্থা থাকা দরকার,