পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংগীতের ব্যবস্থা দেখে বলতে হয়, এই কাজটা এখন খাব বেশি প্রয়োজনীয় । এমন একটা সময় ছিল, এমন মনোভাব আমাদের দেশে এসেছিল, যখন এর চাচাটা সময় নািস্ট বলে বিবেচিত হত । এর অনাদরের ফলে, আমরা অমানষি হয়ে পড়েছিলাম । ব্যায়াম যেমন শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়, সংগীত তেমনি মনের পক্ষে । একমান্ত জাতীয় সংগীতই সারা বাংলাকে স্বদেশীভাবে অন্যপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছিল। আজ আমরা বঝেছি, সংগীত কত আদরের হওয়া উচিত । এর শিক্ষার একটা আয়োজন করতে হবে । সমাজে যাতে এর আদর হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে । লোকের ভাল ধারণা ভাঙতে হবে । শােধ বিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র হলেই পরিষার্থ লাভ হয়, অন্য বিষয়ে ংসা লাভের মাল্য নেই- এই ছিল এতদিনকার ধারণা । কিন্তু কাষত দেখা ষাচ্ছে, জীবন-সংগ্রামে মানষে জয়লাভ করে, শােধ বিদ্যালযে প্রথম স্থান অধিকার করে নয়, সবদিক দিয়ে মানষে হয়ে । তাই শািন্ধ লেখাপড়ায় প্রথম না। হয়ে, জীবনক্ষেত্রে প্রথম হবার শিক্ষা, আমাদের লাভ করতে হবে। তাই যে পৰ্যন্ত সমাজে এই সংগীতের চাচা না হয়, ততদিন এর সফল পাওয়া যাবে না । সেবকদের জন্য একটা শিক্ষার পদ্ধতি স্থির করতে হবে । সেবার উদ্দেশ্য লোককে “মানষ” করে তোলা। যতদিন নিজেরা না মানষি হচ্ছি, ততদিন কি করে লোককে মানষি করব ? এই-সব শেখার জন্য রীতিমত trauming নেওয়া দরকার, সাধারণ লোককে শিক্ষা দেবার জন্য Night School খোলা যেতে পারে। কিন্তু তা করতে হলে, কী শেখানো হবে- কিভাবে শিক্ষার বিস্তার করতে হবে, সেগলি আবিস্কার করা দরকার । সাধারণ স্কুল-পাঠশালার BBBB LEEL DY DS S EK BDY LaLCLLLL LLLLLLLLmmLLL DBBBBSOk BDBBD কমী তৈরি হতে পারে না। অথচ নৈশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাও বিশেষ দরকার । দশজন ভালো কমী পেলে, একটা স্কুল বেশ চলতে পারে । আর এই-ই লোকশিক্ষার একটা মস্ত field, তবে এই-সব কাজ। সার্থক করতে হলে, দেখতে হবে, দেশের ষে অবস্থা নিত্য দেখছি, তাই দেশের প্রকৃত রােপ কি না । বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠে। দেশমাতৃকার ষে তিনটি চিত্রের কথা আছে, সেই চিত্র তিনটি মানসপটে অঙ্কিত রাখতে হবে। তবেই বতমান সময়ে কী করা উচিততা আমরা বঝতে পারব । চিত্র তিনটি : দেশ কী ছিল- কী হয়েছেআর কী হবে । যে দেশ এককালে বড়ো ছিল, যে দেশে গ্যাগী মৈত্ৰেয়ী জন্মগ্রহণ করেছিলেন, A