পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দষ্ট হয়, লখীন্দরের লোহার বাসরে হিন্দয়ানী রক্ষাকবচ ও অন্যান্য মন্তিপতে সামগ্রীর সঙ্গে একখানি কোরানও রাখা হইয়াছিল, রামেশ্ববরের সত্যনারায়ণ মসলমান ফকির সাজিয়া ধমের ছবিক শিখাইয়া গিয়াছেন । --মীরজাফরের মাতুকালে তাঁহার পাপ মোচনের জন্য কিরীটেশবরীর পাদোদক পান করিতে দেওয়া হইয়াছিল, ইহা ইতিহাসের কথা । হিন্দগণ যেরূপ পীরের সিন্নি দিতেন, মসলমানগণও সেইরাপ দেবমন্দিরে ভোগ দিতেন।” (বঙ্গভাষা ও সাহিত্য, প, ৪৬৩ ) ; ‘হিন্দ মসলমানের মৈত্রী ও সখ্যতা সশবন্ধে এরপ বহ দশটাম্পত দেওয়া যায়। প্রায় আড়াই শত বৎসর পতবে কবি আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে আলাওলের গভীর , পান্ডিত্যের পবিচয় আছে । তাঁহার বিদ্যা বন্ধিতে যতদর কুলাইয়াছিল, তিনি পদ্মাবতীতে তাহার কিছর বাদ দেন নাই।” ( ঐ পাে. ৪৬৮ ) এই সেদিন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও মজা হাসেন আলি ও সৈয়দ জাফর খাঁ এই দই সমসাময়িক কবি যেভাবে বংগভাষা ও সাহিত্যের সেবা কবিঘাছেন, তাহা এ যাগের অনেকেরই দম্পন্টাস্তববাপ । বস্তুত বাংলাব আধনিক ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্য - ইহার উন্নতিসাধনকলেপ হিন্দ ও মসলমান উভযে কী পরিমাণ সাহায্য করিয়াছেন তাহা নির্ধারণ করা সহজ নয়- এক কথায় বলা যায় জাতি-বাণ নিবিশেষে সকল বাঙালীর চেষ্টায়ই আজিকার সমাজ ও সাহিত্য গড়িয়া উঠিয়াছে । জাতীয় অৰসাদ ও নবজাগরণ অস্টম শতাব্দী হইতে বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত অশ্রান্ত কম প্রচেস্টার ফলে বাঙালী যখন ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছে তখন মহম্মদ বকতিযার ধাংলার দ্বারদেশে আঘাত করেন । বাহিরের সংঘাতে তম্প্রদাবিজড়িত নেত্র উস্মীলিত হইল, বাঙালী আবার সাধন-সমরে প্রবত্ত হইল । চতুদশা হইতে অশাদশ শতাব্দী পষলন্ত অবিরাম সাধনার পর ফ্লম্পিতর ছায়া বাংলাকে আচ্ছন্ন করিল । ঠিক এই সময়ে ইংরেজের তােষ নিনাদ বাংলার প্রাস্তরে শানা যায় ! পাশ্চাত্য শান্তির সংঘাতে বাঙালীর প্রান্তি ক্লান্তি আজ দরে হইয়াছে, সে আজ আত্মবিষ্পমতি ঘচোইয়া নব নব সন্টির কাষে ব্যাপতি । ক্লাশিত, অশ্রদ্ধা ও অবিশ্রাম আত্মকলহ দীর করিবার জন্য উনবিংশ শতাব্দীতে রাজা রামমোহন নািতন আন্দোলন প্রবতিত করেন । গাহবিবাদ G