পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও মতভেদ ঘচাইবার জন্য তিনি উদার বেদান্ত তত্ব প্রচার করেন । যে-সমস্ত আবর্জনা বহা শতাব্দী হইতে পঞ্জীভত হইয়া হিন্দসমাজকে পতিগন্ধময় করিয়া তুলিয়াছিল তাহা দরে করিবার জন্য সংস্কার আরম্ভ হইল এবং ব্রাহ্মাসমাজ সন্ট হইল। এই আন্দোলনের ফলে খ্রীস্টীয় ধর্ম ও খ্রিীস্টীয় সভ্যতার আক্ৰমণ হইতে বাঙালী আত্মরক্ষা করিল । রামমোহনের বেদান্ত প্রচারের মধ্যে যে সমন্বয়ের সর্বাচনা আমরা দেখিতে পাই তােহা উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে ৱামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের মধ্যে পণভাবে ফটিয়া উঠিল। রামকৃষ্ণ পরমহংস তাঁহার জীবনের অপবর্ণ ও অলৌকিক সাধনার বলে বিভিন্ন সাধন পদ্ধতির ( যেমন কম, ভক্তি, জ্ঞান ) মধ্যে সমন্বয়, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ( যেমন শান্ত, বৈষ্ণব, যোগী, শৈব ইত্যাদি ) সমন্বয় এবং বিভিন্ন ধমের মধ্যে ( যেমন খ্রিীস্টীয় ধম, ইসলাম ধম, হিন্দী ধম’ ইত্যাদি ) সমন্বয় স্থাপন করিয়া গেলেন । পরমহংসের অন্যভতি ও সাধনার উত্তরাধিকারী হইলেন প্রথমে স্বামী বিবেকানন্দ এবং তারপর সমগ্ৰ বংগবাসী । এই সমন্বয় স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন দিক দিয়া- কাব্যে, সাহিত্যে, দশনে, বিজ্ঞানে, ব্যবসায়-বাণিজ্যে, ক্রীড়া ও ব্যায়ামকৌশলে সন্টি ও নািতন প্রচেষ্টা চলিতেছে। এতদ্ব্যতীত সমাজে পণ্য সাম্য স্থাপনের চেষ্টা চলিতেছে- এবং হিন্দৰ-মাসলমান-নিবিশেষে সমগ্র বাঙালীজাতি সাহিত্যসাধনায় প্রবত্ত হইয়াছে। আধনিক বাংলা সাহিত্যে মসলমান সাহিত্যিকের দান যে কোনো যাগো শল্যাঘ্য ও গৌরবময় বলিয়া পরিগণিত হইবে । পরমহংসের আরাধ ও অসম্পণে কাজ সবামী বিবেকানন্দ হাতে লইলেন । ভারতের বহনেযাগসন্চিত জ্ঞানের সম্পদ দেশবিদেশে বিকীৰণ করিবার জন্য তিনি প্রাচীন বৌদ্ধ পরিব্রাজকের মতো জ্ঞানের প্রদীপ হস্তে লইয়া সাগরপারে চলিলেন । এতদিন পরে ভারতবাসী ঘর ছাড়িয়া বাহিরের জন্য পাগল হইল ; বিশ্ববিদরবারে দিবার মতো সামগ্ৰী নিজের ঘরে "খাজিয়া পাইল, তারপর রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্ৰ, প্ৰফল্লচন্দ্র, রামানজম, রামন প্রভাতি ভারতের শ্রেষ্ঠ DDBS DBDBBDS DDBDD D DDuDBDBS BDDDB B BDuBBCLDBD পরিপন্ট করিয়াছেন । এই-সব মহাপরিষের আজীবন সাধনার ফলে আজ। সমগ্ৰ ভারতীয় জাতি বঝিতে পারিয়াছে যে তাহদের একটা আদশ আছে। বচিবার একটা উম্পেদশা আছে- পথিবীতে জাতি হিসাবে একটা mission आई । g