পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের দেশের নবীন জাতি সন্টির কাজও বিবেকানন্দ আরম্ভ করিয়াছিলেন। বান্তির সমন্টিই জাতি । খাঁটি মানষ তৈয়ারি না হইলে স্বাধীন ও বলবান জাতি জন্মিতে পারে না। তাই তিনি বলিলেন “Man making is my mission’- খাঁটি মানষে প্রস্তুত করাই আমার জীবনের কতব্য । তারপর খাঁটি মানষে সস্টি করিবার জন্য তিনি শ্রেণী বিশেষের মধ্যে দন্টি আবশ্ব না। রাখিয়া সমগ্র সমাজের মধ্যে খ'জিতে লাগিলেন। তাঁহার সেই বাণী অমর হইয়া এখনো বাঙালীর ঘরে ঘরে ঘারিতেছে :- “তোমরা উচ্চবণেরা কি বেচে আছা ?... তোমরা শানো বিলীন হও, আর নািতন ভারত বেরকে । বেরকে লাঙল ধরে, চাষার কুটির ভেদ করে ; জেলে মালা, মচি মেথরের ঝাঁপড়ির মধ্যে হ’তে । বেরকে মন্দির দোকান থেকে, ভুনাওয়ালার উননের পাশ থেকে । বেরক কারখানা থেকে, হাট থেকে, বাজার থেকে । ... এরা সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর অত্যাচার সয়েছে, নীরবে সিয়েছে। তাতে পেয়েছে অপবর্ণ সহিষ্ণতা । • • • অতীতের কংকালচয়- এই সামনে তোমার উত্তরাধিকারী ভারত !” as tV5 kTrata Socialism as Socialism-sa away apter statis প'থিতে নয় । এই Socialism-এর জন্ম ভারতের শিক্ষাদীক্ষা ও অন্যভতি হইতে । যে গণ-আন্দোলনের সবচনা বিবেকানন্দের উত্তির মধ্যে পাই তাহা আরো পরিস্ফট হইয়াছে, দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জন দাশের বাণী ও সাধনার মধ্যে । দেশবন্ধ বলিয়াছেন : মনে করিয়ো না শােধ তোমার মধ্যে ও আমার মধ্যে নারায়ণের বিবাজ । সে অহংকার একেবারে ছাড়িয়া দাও । যাহারাদেশের সারবস্তু, যাহারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলিযা মাটি কর্ষণ করিয়া আমাদের জন্য শস্য উৎপাদন করে- যাহারা ঘোর দারিদ্রের মধ্যেও মরিতে মরিতে দেশের সভ্যতা ও সাধনাকে সজাগ রাখিয়াছে, যাহারা সব প্রকার সেবায় নিরত থাকিয়া আজিও দেশের ধর্মকে আটটি ও অক্ষয় রাখিয়াছে’- যাহারা আজিও শািন্ধ চিত্তে সরল প্রাণে, মামে মামে দেশের মন্দিরে মন্দিরে পাজা দেয়, মসজিদে মসজিদে প্রার্থনা করে- যাহারা জাতির জাতিত্বকে জ্ঞান কি অজ্ঞানে সানিকের অস্থিােনর মতো জবালাইয়া, জাগাইয়া রাখিয়াছে’- যাহারা বাস্তবিকই এদেশের একাধারে রান্ত মাংস ও প্রাণী- “উঠ, জাগা জাগ’- তাঁহাদেরই মধ্যে 'নর-নারায়ণ’ জাগ্ৰত হউক । GG