পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যক্তিগত যোগ্যতার দিক দিয়া ভারতবাসী আমরা পথিবীর অন্য কোনো জাতি অপেক্ষা কোনো বিষয়ে নিরুজ্জন্ট নাহি ; বরং আমরা অনেক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ । আমাদের পরাধীনতা ও বর্তমান দীদশা সত্ত্বেও আমাদের কবি, আমাদের সাহিত্যিক, আমাদের শিল্পী, আমাদের বৈজ্ঞানিক, আমাদের কমী, আমাদের বণিক, আমাদের যোদ্ধা, আমাদের খেলোয়াড়, আমাদের কুস্তিগিরি পালোয়ানপথিবীর অন্য কোনো জাতি অপেক্ষা হীন না 7 । আশাতজাতিক প্ৰতিষোগিতায় আমরা বার বার আমাদের যোগ্যতা প্রতিপন্ন কমিয়াছি। কিন্তু আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন দিক দিয়া পথিবীর সমক্ষে গৌরব ও সন্মান লাভ করিলেও এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে যে আমরা জাতি হিসাবে এখনো অধঃপতিত । জনসাধাবণকে আমরা যেদিন শিক্ষার স্বারা মানষে করিয়া তুলিতে পারিব সেদিন আমাদের সম্মখে অন্য কোনো জাতি প্ৰতিযোগিতায় দাঁড়াইতে পরিবে না । জনসাধারণকে জাগাইতে হইলে সে ভার শিক্ষিত তরণ সমাজকে গ্ৰহণ করিতে হইবে । প্রকৃত দেশাত্মবোধ যেদিন আমাদেব মধ্যে জাগিবে সেদিন আমরা জনসাধারণের সহিত প্ৰাণে প্রাণে মিশিতে পারিব । দেশাত্মবোধ লাভ করিতে হইলে হৃদয়ের উদারতা চাই এবং চিন্তার সকল বিশাধন ও গাড়ী অতিক্রম করা চাই । স্বাধীন চিন্তার শান্তি ও হৃদয়ের অপরিসীম। উদারতা। ষােহাতে তরুণ সমাজ লাভ করিতে পারে তার জন্য ছাত্রজীবন হইতেই সাধনা করা চাই । মনষ্যেত্ব লাভের একমাত উপায় মনষ্যেত্ব বিকাশের সকল অন্তরায় চৰণ বিচৰণ করা । যেখানে যখন অত্যাচার, অবিচার বা অনাচার দেখিবে সেখানেই নিভীক হৃদয়ে শির উন্নত কবিয়া প্রতিবাদ করিবে এবং নিবারণের জন্য প্রাণপণ চেস্টা কৱিবে । বত মান যাগে আত্মরক্ষার জন্য এবং জাতির উদ্ধারের জন্য যে শক্তি আমরা চাই তাহা বনে জংগলে বা নিভতে কম্পন্দরে তপস্যা করিলে পাইব নাপাইব নিৰ্ম্ম কাম কমযোগের দ্বারা- পাইব আবিরাম সংগ্রামের ভিতর দিয়া । অত্যাচার দেখিয়াও যে ব্যান্তি তাহা নিবারণ করিবার চেষ্টা করে না সে নিজের মনষ্যিত্বের অপমান করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির মনযোম্বের অপমান করে। যে ব্যান্তি অত্যাচার নিবারণের প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথবা লাঞ্ছিত হয়- সে সেই ত্যাগ ও লাঞ্ছনার ভিতর দিয়া মনীষত্বের গৌরবময় আসনে প্রতিষ্ঠিত হয় । তাই আজ তোমাদের মতোই একজন ছাত্র খড়গবাহাদর সিংহ মাতজাতির সম্পমান রক্ষার পরস্ফার'স্বরূপ বরেণ্য বীররাপে ভারতপজ্যে হইয়াছে। কলিকাতা SO