ভারতের এই mission-এ যার বিশ্বাস আছে—সেই ভারতবাসীই শুধু বেঁচে আছে। ভারতের তেত্রিশ কোটী লোক যে বাঁচার মত বেঁচে আছে এ-কথা সত্য নহে। ভারতের এবং বাঙ্গলার তরুণদের এই বিশ্বাস আছে—তাই তারা বেঁচে আছে।
দেশান্তরে কারাবাসে মাসের পর মাস যখন কাটিয়েছি তখন প্রায়ই এই প্রশ্ন আমার মনে উঠত—“কিসের জন্য, কিসের উদ্দীপনায় আমরা কারাবাসের চাপে ভগ্নপৃষ্ঠ না হয়ে আরও শক্তিমান হয়ে উঠছি?” নিজের অন্তরে যে উত্তর পেতাম তার মর্ম্ম এই:—“ভারতের একটা mission আছে, একটা গৌরবময় ভবিষ্যৎ আছে; সেই ভবিষ্যৎ ভারতের উত্তরাধিকারী আমরাই। নূতন ভারতের মুক্তির ইতিহাস আমরাই রচনা করছি এবং করব। এই বিশ্বাস আছে বলেই আমরা সব দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারি, অন্ধকারময় বর্ত্তমানকে অগ্রাহ্য করতে পারি, বাস্তবের নিষ্ঠুর সত্যগুলি আদর্শের কঠিন আঘাতে ধূলিসাৎ করতে পারি। এই অটল, অচল বিশ্বাস আছে বলেই বাঙ্গলার তরুণ শক্তি মৃত্যুঞ্জয়।”
এই “শ্রদ্ধা,” এই আত্মবিশ্বাস যার আছে সেই ব্যক্তিই সৃষ্টিক্ষম, সেই ব্যক্তিই দেশ-সেবার অধিকারী। জগতে মহৎ প্রচেষ্টা যাহা কিছু আছে তাহা মনুষ্যহৃদয়ের আত্ম-বিশ্বাস ও সৃষ্টিশক্তির প্রতিচ্ছায়া মাত্র। নিজের এবং জাতির উপর বিশ্বাস যার নাই, সে ব্যক্তি কোন্ বস্তু সৃষ্টি করতে পারে?
বাঙ্গালীর অনেক দোষ আছে, কিন্তু বাঙ্গালীর একটা গুণ আছে যাতে তার অনেক দোষ ঢাকা পড়েছে এবং যার বলে সে আজ জগতের মধ্যে মানুষ বলে গণ্য। বাঙ্গালীর আত্মবিশ্বাস আছে, বাঙ্গালীর