পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
তিতাস একটি নদীর নাম

বাবরি চুল। যমদূতের মত চোউখ। আম্‌রা ডরাইতাম। সারিন্দা বাজাইত আর তামুক খাইত।’

 —“আর আমার নন্‌দের শাশুড়ি। জামাই আইলে তারে ঠকান চাই। পান সাজাইয়া কইত, ‘পান খাও রসিক জামাই কথা কও ঠারে, পানের জন্ম অইল কোন্ অবতারে। যদি না কইতে পার পানের জন্মকথা, ছাগল হইয়া খাও শাওড়াগাছের পাতা!’ —খাইত কোনো জামাই পান তার সামনে?”

 এসব হাসিঠাট্টার কথাতে অনন্তর মার মন বসে না। বর্ষিয়সী রঙ্গিণীরা তার মন পায় না। মনে করে এ নারী অনেক দূরের। এইত একমুঠা মেয়ে। তাকেও দলে পাইবে না! অত দেমাক!

 কিন্তু অনন্ত উহাদের মুখের দিকে চাহিয়া থাকে। এরা বুঝি রূপকথার দেশের। এদের মনেমনে অনেক গল্প জমা আছে, বলিলে কোনোদিন ফুরাইবে না।

 —একজন গল্পের ঝাঁপি খুলিল, ‘আমার শ্বশুরের অনেক কিচ্ছা আছে। তুম্‌রি খেলা জানত। উঠানের দুই দিকে দুই উস্তাদ খাড়াইত। একজন মন্ত্র পইড়া সাপ চালান দিত, আরেকজন ময়ূর চালাইয়া সেই সপ্প সংহার করত। সেই মন্ত্র না জানা থাকলে মরণ। সেইজন আবার ফির্‌তি আগুন চালান দিত, অন্যজন বরুণ মন্ত্রে মেঘ নামাইয়া আগুন নিভাইত। একবার কামরূপ কামিখ্যা হইতে এক উস্তাদ বাদ্যানী আইল আমার শ্বশুরের লগে তুম্‌রি খেলতে। পর্‌থম