পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তিতাস একটি নদীর নাম
৩০৭

 ‘কি করলি তুই?’

 ‘এক ভেংচি দিলাম।’

 ‘তুই আমারে তেমুন কইরা একটা ভেংচি দে না!’

 ‘ধেৎ! তুই কি আমার সত্যের বর? তুই ত মাইয়া মানুষ!’

 ‘তবে আমি তোরে দেই!’

 ‘ধেৎ, আমরা কি আর অখন ছোট রইছি?’

 কি এমুন বড় হইয়া গেছি। বারোবছর বয়সে বিয়া হইছিল, তারপর ন’বছর—মোটে ত একুশ বছর। এর মধ্যেই বড় হইয়া গেলাম?’

 ‘বড় হইয়া গেলি কি গেলি না, বুঝতি যদি কোলে দুই একটা ছাও-বাচ্ছা থাক্‌ত। জীবনে একটারও গু-মুত কাচাইলি না, তোর মন কাঁচ শরীল কাঁচা, তাই মনে হয় বড় হইলি না; যদি পুলাপান হইত, বয়সও মালুম হইত।’

 ‘সেই কথা ক।’

 তারপর চারিদিক আঁধার হইয়া আসিল। শাদা শাদা অজস্র সাপলা ফুলে শোভিত, সর্পাসনা মনসা মূর্তিটি অনন্তর চোখের সামনে ঝাপসা হইয়া আসিল, অন্যান্য পূজাবাড়িগুলিরও গান ধুমধাম ক্রমে অস্পষ্ট হইয়া একসময় থামিয়া গেল।


 শ্রাবণ মাসের শেষ তারিখটিতে মালোদের ঘরে ঘরে এই মনসা পূজা হয়। অন্যান্য পুজার চাইতে এই পূজার খরচ কম,