পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১৮
তিতাস একটি নদীর নাম

দিয়া শিলোক বানাইছে। মা ডাক্‌তাছে। আমি যাই। যে-কথা কইলাম—কারো কাছে কইও না, কেমুন?’

 ‘না।’

 ‘আমি কিন্তু কইয়া দিমু।’

 ‘কি?’

 ‘তুমি আমার খোঁপায় মালা দিছ—এই কথা।’

 ‘কার কাছে?’

 ‘মার কাছে?’

 অনন্ত বিচলিত হইয়া উঠিল।

 ‘আরে না না। মা তোমারে বকব না। আদর করব। তুমিও চল না আম্‌রার বাড়িত!’

 অনন্ত বলিল ‘না।’

 মাসীর জন্য তার মনটা এই সময় বেদনায় টন্ টন্ করিয়া উঠিয়াছিল!

 এই সময় তিতাসের বুকে কিসের বাজনা বাজিয়া উঠিল। ছেলের দল পূজার বাড়ি ফেলিয়া দৌড়াইয়া চলিল নদীর দিকে। সকলেরই মুখে এক কথা—দৌড়ের নাও, দৌড়ের নাও।

 নামটা অনন্তর মনে কৌতূহল জাগাইল। অনেক নাও সে দেখিয়াছে, এ নাও ত কই দেখে নাই। ঘাটে গিয়া দেখে সত্যি এ দেখিবার জিনিসই বটে। অপূর্ব, অপূর্ব।

 রাঙা নাও। বর্ষার জলে চারিদিক একাকার। এদিকে ওদিকে কয়েকটি পল্লী যেন বিলের পানিতে সিনান করিয়া স্তব্ধ হইয়া দাঁড়াইয়া আছে। তিতাসের বুক শাদা, তার