—আমার বাপের হাতের? নানার হাতের?
—না, না, না। তোমাদের সাথে জানা-পরিচিতি হইয়া গিয়াছে।
—জানা-পরিচিতি হইলে জাত যায় না?
—না।
—তবে বুরুজ ঠাকুরের যদি ঐ মালীর-ছেমরীর সাথে জানা-পরিচিতি হইয়া যাইত তবে পানি খাইলে জাত যাইত না?
বড় মিস্ত্রী হাঁ না কিছুই বলিল না। তাহাকে চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া রমু সহসা হাততালি দিয়া হাসিয়া উঠিল।
বড় মিস্ত্রী বিরক্ত হইয়া বলিল, হাসিলে যে।
—হাসিলাম একটা কথা মনে করিয়া। কথাটা এই, আমার ছোঁয়া পানি খাইলে তোমাদের যদি জাত যাইত তবে বেশ হইত।
বড় মিস্ত্রীর দুই চোখ বিস্ফারিত হইল, কি রকম?
—বুরুজ ঠাকুরের মত তোমাদিগকেও আমাদের বাড়িতে থাকিয়া যাইতে হইত।
বড় মিস্ত্রী ঠকিয়া গিয়া কাজে মন দিল।
যে-দিন নাও গড়ানি শেষ হইল সেদিন মিস্ত্রিদের খুশি আর ধরে না। দীর্ঘদিনের চেষ্টা ও শ্রম আজ সফল হইল। এমন একখান চিজ তারা গড়িয়া দিল যে-চিজ অনেক—অনেকদিন পর্যন্ত জলের উপর ভাসিবে—কত লোক তাতে