মেয়ের হাত হইতে হুকা লইয়া কিশোরের দিকে বাড়াইয়া লোকটি বলিল, ‘আমি খাই তোমার হুক্কা, তুমি খাও আমার ঝিয়ের হুঙ্কা। —আমার ঝি।’
মেয়ের দিকে চাহিয়া বলিল, ‘কি গো মা, জামাই দেখছ নি? বিয়া দিয়া দেই?’
‘কার ঠাঁই?’
‘এই বুড়ার ঠাঁই।’
ন্না, বুড়ার ঠাঁই না। আমার জামাই হইব যবুনার জামাইর মত সুন্দর। মায় কইছে।’
‘তা অইলে এই জামাইর ঠাঁই দেই?’
কন্যাকর্তা সুবলের দিকে হাতের তক্লি বাড়াইল। সুবল কিশোরের দিকে চাহিয়া মুচকিয়া হাসিল।
‘নাও লইয়া আইছ, নিয়া যাইবায় বুঝি?’
সুবল বলিল, ‘হ, লইয়া যামু অনেক দূর। এই দেশের কাওয়ার মুখও দেখ্তে পারবা না।’
মেয়ের চিন্তিত মুখ দেখিয়া বাপের দয়া হইল, ‘না না আমার মায়েরে যাইতে দিমু না। জামাই আম্রা ঘর-জামাই রাখমু।’
বাড়ি যাইবার সময় লোকটি কিশোরকে বলিয়া গেল, ‘শোন মালোর পুত্, তোমরার পাক আমার বাড়িতে হইব। আমার ঝি তোম্রারে নিমন্তন করল। —কি কও?’
‘না না, আম্রা নাওই রান্ধমু। তুমি খাও গিয়া। রাইতের জালে যাও বুঝি।’