কুষ্টি গণনা করে বলেছিল, একদিন দুনিয়ায় আমার নাম জাহির হবে বলেছিল আমার জন্মস্থানে শয়তানের দৃষ্টি আছে।”
নন্দকিশোর বললে, “বলো কী। শয়তানের?”
মেয়েটি বললে, “জানো তো বাবুজি— জগতে সবচেয়ে বড়ো নাম হচ্ছে ঐ শয়তানের। তাকে যে নিন্দে করে করুক, কিন্তু সে খুব খাঁটি। আমাদের বাবা বোম্-ভোলানাথ ভোঁ হয়ে থাকেন। তাঁর কর্ম নয় সংসার চালানো। দেখো-না, সরকার বাহাদুর শয়তানির জোরে দুনিয়া জিতে নিয়েছে, খৃস্টানির জোরে নয়। কিন্তু ওরা খাঁটি, তাই রাজ্য রক্ষা করতে পেরেছে। যেদিন কথার খেলাপ করবে, সেদিন ঐ শয়তানেরই কাছে কানমলা খেয়ে মরবে।”
নন্দকিশোর আশ্চর্য হয়ে গেল।
মেয়েটি বললে, “বাবু, রাগ কোরো না। তোমার মধ্যে ঐ শয়তানের মন্তর আছে। তাই তোমারই হবে জিত। অনেক পুরুষকেই আমি ভুলিয়েছি, কিন্তু আমার উপরেও টেক্কা দিতে পারে এমন পুরুষ আজ দেখলুম। আমাকে তুমি ছেড়ে না বাবু—তা হলে তুমি ঠকবে।”
নন্দকিশোর হেসে বললে, “কী করতে হবে।”
“দেনার দায়ে আমার আইমার বাড়িঘর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে— তোমাকে সেই দেনা শোধ করে দিতে হবে।”
“কত টাকা দেনা তোমার।”
“সাত হাজার টাকা।”
নন্দকিশোরের চমক লাগল— ওর দাবির সাহস দেখে। বললে, “আচ্ছা আমি দিয়ে দেব, কিন্তু তার পরে?”
“তার পরে আমি তোমার সঙ্গ কখনো ছাড়ব না।”
“কী করবে তুমি।”
“দেখব— যেন কেউ তোমায় ঠকাতে না পারে আমি ছাড়া।”
নন্দকিশোর হেসে বললেন, “আচ্ছা বেশ— রইল কথা— এই