পাতা:তীর্থরেণু.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু

মন্দির-কদর ছাড়ি’ এস বন্ধু! এস বাহিরিয়া,
স্বর্গের কামনা ভোলো! প্রব্যথিত মানবের হিয়া
তোমারে খুঁজিছে, ওগো! এস, এস মানুষের মাঝে,
নরলোকে আছে কাজ; স্বর্গে তুমি লাগিবে কি কাজে?
মমতার চক্ষে চাও, দুর্ব্বলেরে তোলো হাত ধরে,
স্বর্গ পাবে মর্ত্তে বসি’,—পুণ্যফলে, দেবতার বরে।

ডান্‌বার।


শ্রেষ্ঠ ভক্ত

মিঞা আবু বিন্ আদম্‌,—(তাঁহার বংশ বিশাল হোক্‌,)
নিশীথে জাগিয়া দেখিলেন ঘরে উছলে চন্দ্রালোক!
রূপে উদ্ভাসি’ জোছনার রাশি পদ্মফুলের মত,—
দেবদূত এক,—সোনালি পুঁথিতে লিখিতে আছেন রত;
চিত্তে মিঞার ছিল না বিকার, তাই সাহসের ভরে
সুধালেন তিনি “কি লিখ আপনি পুঁথির পাতার ‘পরে?”
আঁখি তুলি’ ধীরে স্বপন-মূরতি কানে কহিলেন তার,
“বিশ্ববাজারে যারা ভালবাসে নাম লিখি তা' সবার!”
“আমার নাম কি লিখেছেন?” আবু সুধালেন মৃদুভাষে,
“লিখি নাই” শুধু কহি সংক্ষেপে দেবতার দূত হাসে!
বিনয় বচনে কহিলেন আবু “লিখো তবে অন্তত;—
আবু ভালবাসে সর্ব্বভূতেরে ঠিক আপনারি মত।”

১৭৩