পাতা:তীর্থরেণু.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু

উতলা বাতাস সহসা যেমন দ্রুত পাখাভরে আসি’
জোর ফুঁয়ে ভেঙে ফেলে গো কীচক,—তার সবে-ধন বাঁশী;
তেমনি করিয়া আবেগের ঝড় আমারে করে গো ক্ষীণ,
ভালবাসা মোর অমিত বলিয়া ভালবাসা ভাষাহীন।

নয়ন আমার সে কথা তোমারে জানায়েছে নিশ্চয়;—
কেন যে বাঁশরী নীরব আমার বীণা সে মৌন রয়;
সে কথাটি যদি না পার বুঝিতে বিদায়, বিদায় সাকী,
না-পাওয়া চুমার, না-গাওয়া গানের স্মৃতি লয়ে আমি থাকি।

ওয়াইল্‌ড্‌।


প্রথম সম্ভাষণ



কতবার ভেবেছি গো, ভগবান নিজ করুণায়,
নিভৃতে সৌন্দর্য্য তব দেখাইয়া দিবেন আমায়;
আজিকে আপনা হ’তে তুমি মোরে দিলে দরশন!
অনেক দিনের সাধ-হৃদয়ের-করিলে পূরণ।
চক্ষে দেখিতেছি তোমা, কণ্ঠস্বর শুনিতেছি কানে,
হে সুন্দরী! কহ কথা, আরবার চাহ মোর পানে;
মুগ্ধ এ শ্রবণে তুমি বল যাহা বলিবার আছে,
অন্তরের অভিলাষ অসঙ্কোচে কহ মোর কাছে।

ফর্দ্দূসী।
৬২