পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রতিমূর্ত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিল। তৎকর্ত্তৃক উক্ত মূর্ত্তি সেই স্থান হইতে নীত হইয়া ত্রিপুররাজ্যের নব রাজধানী “নূতন হাবেলী” ব। “নূতন আগরতলা” নামে খ্যাত নগরীতে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। স্থানীয় সর্ব্বসাধারণে বর্ণিত মূর্ত্তিকে “উমামহেশ্বর” নামে অভিহিত করে। ইহার পদনিম্নে যে লিপি উৎকীর্ণ আছে, তাহা পাঠ করিবার জন্য অনেকেই প্রয়াস প্রাপ্ত হইয়াছিল বলিয়া অবগত হওয়া যায়। কিন্তু “উমামহেশ্বর” ও অপর কয়েকটী শব্দ ব্যতিরেকে আর কিছুই পাঠ করিতে সক্ষম হয় নাই।

 অধুনা ইণ্ডিয়েন মিউজিয়মের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক পণ্ডিত বিনোদবিহারী বিদ্যাবিনোদ উল্লিখিত মূর্ত্তির পদ-নিম্নস্থ উৎকীর্ণ লিপির যে পাঠ উদ্ধার করিয়াছেন, এবং তৎকর্ত্তৃক তাহার যে অর্থ ব্যাখ্যাত হইয়াছে তাহা নিম্নে প্রদত্ত হইল।

 শিলালিপি—

ওঁ শ্রীতড়ঙ্গচন্দ্র দেব পাদীয় সম্বৎ ১৮
মাঘদিনে ১৯ ভূভৃতা
কারিত উমামহেশ্বব ভট্টারকঃ
খচিতঞ্চ কেন্নোকেনেতি॥”

 ব্যাখ্যা—

 “শ্রীতড়ঙ্গচন্দ্র দেব পাদের অষ্টাদশ বর্ষ রাজ্যকালে মাঘ মাসের ১৯ তারিখে রাজা স্বয়ং এই উমামহেশ্বর ভট্টারকের মূর্ত্তি করাইলেন, কেন্নোক নামে শিল্পী ইহা নির্মাণ করিল।

 খচিতঞ্চ স্থানে খচিতশ্চ পাঠই বিশুদ্ধ খচিত অর্থে fixed, blended প্রস্তর কাটিয়া উমামহেশ্বর মূর্ত্তি এক যোগে করিয়া দেওয়ার নাম খচিত। ভট্টারকঃ পুংলিঙ্গ, সুতরাং খচিতং ক্লীবলিঙ্গ না হইয়া খচিতঃ পুংলিঙ্গ হওয়াই উচিত। শ্রীতরঙ্গ চন্দ্রদেব রাজার নাম শিলায় শ্রীতরঙ্গ চন্দ্রদেব স্থানীয় উচ্চারণ ভেদে “র” স্থানে “ড়” হইয়া গিয়াছে। এরাজার পরিচয় জ্ঞান নাই। তবে ইনি যে পাল রাজগণের সমসাময়িক তাহা এই লিপিগুলির আকার প্রকারে অনুমান করা যাইতে পারে।”

শ্রীবিনোদবিহারী বিদ্যাবিনোদ  

 ত্রিপুরার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তবর্তী নানা জনপদ হইতে পুরাকালের নির্ম্মিত দেব-দেবীর প্রতিমূর্ত্তি সময় সময় উদ্ধৃত হওয়াতে অনুমিত হয় যে, একদা এতৎ

ত্রিপুরার স্মৃতি
২১