পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



জগন্নাথ দীঘী ও পুরাণ রাজবাড়ী

 কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ দিগ্বর্ত্তী “চৌদ্দগ্রাম” পরগণার দক্ষিণদিকে ন্যূনাতিরেক ৮ মাইল দূরে “তিষ্ণা” পরগণার মধ্যে “জগন্নাথ দীর্ঘী” নামে প্রসিদ্ধ এক সুবিস্তীর্ণ সরোবর পরিলক্ষিত হয়। উক্ত জলাশয় খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথিতযশাঃ ত্রিপুরাধিপতি কল্যাণ মাণিক্যের তনয় “জগন্নাথ দেব” নামক রাজকুমার খনন করাইয়াছিলেন। ইহার সম্বন্ধে ত্রিপুরেশগণের জীবনচরিত রাজমালায় এইরূপ উল্লেখ আছে।

“জগন্নাথ ঠাকুর অতি পুণ্যবান হয়।
তিষিণাতে দিল দীঘী পুণ্যের সঞ্চয়॥”

রাজমালা-গোবিন্দ মাণিক্য খণ্ড

 ত্রিপুররাজ্যের তৎকাল প্রসিদ্ধ প্রাচীন রাজধানী “উদয়পুর” এবং তদীয় পিতৃদেব কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত উক্তরাজ্যের সাময়িক রাজধানী “কল্যাণপুর” হইতে এই সুদূর অঞ্চলে আগমন পূর্ব্বক তিনি কি জন্য উল্লিখিত দীর্ঘিকা খনন করাইয়াছিলেন, ইহার উদেশ্য অবগত হওয়া যায় না। চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরার মধ্যবর্ত্তী সুদীর্ঘ পথপার্শ্বে দীর্ঘিকাটী পর্য্যবেক্ষণ করিয়া সম্ভাবিত হয় যে, পরিশ্রাস্ত পথিকগণের বিশ্রাম ও পিপাসা নিবারণার্থে এই স্থানে জলাশয়টী খনিত হইয়া থাকিবে।

 বর্ণিত জলাশয়ের আয়তন দৈর্ঘ্যে ১ মাইল। ইহার তুল্য এত স্থবিশাল দীর্ঘিকা ত্রিপুরাতে দ্বিতীয় আর নাই। প্রতি বৎসর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উক্ত সরোবরে স্নানউপলক্ষে তাহার তীরবর্ত্তী ভূমিখণ্ডে এক মেলা হইয়া থাকে। তৎকালে এই স্থানে বহু লোক সমাগম হয় বলিয়া অবগত হওয়া যায়।

 পুরাণ রাজবাড়ী

 উল্লিখিত দীর্ঘিকা হইতে ন্যূনাধিক ৪ মাইল দূরে দক্ষিণদিকে, সামান্য পূর্ব্ব

ত্রিপুরার স্মৃতি
২৩