পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধব কর্তৃক দৈত্যনারায়ণ নিহত হওয়ার বিষয় রাণী লক্ষ্মী দেবী পরম্পরায় লোকমুখে অবগত হইলে, তিনি পিতৃহত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করিতে কৃতসঙ্কল্প হন । কিন্তু রাজা স্বয়ং মাধবের সহায় থাক বশতঃ লক্ষ্মী দেবী তাহার উদ্দেপ্ত সাধনের সহসা কোন উপায় করিতে সক্ষম হন নাই । একদা বিজয় মাণিক্য মুগয়ার্থে গমন কালে ব্যস্তত। নিবন্ধন তদীয় অঙ্গুরী সঙ্গে গ্রহণ করিতে বিস্তৃত হন । লক্ষ্মীদেবী তাহ প্রাপ্ত হইলে তদকুরূপ আর একটী অঙ্গুরীয় সংগ্রহ পূৰ্ব্বক রাজা স্বয়ং মাধবকে আহবান করিয়াছেন এবংবিধ প্রতারণ। প্রচার করিয়। রাজার অভিজ্ঞান স্বরূপ উক্ত কৃত্রিম অঙ্গুরীয় প্রেরণ কবেন । লক্ষ্মীদেবীর চাতুধ্যে প্রতারিত হইয়া মাধব রাজধানীতে আগমন করিলে তাহার আদেশানুসারে সে নিহত হয় । এই রূপে লক্ষ্মী দেবী তদীয় পিতৃহস্তাব প্রাণবিনাশ পূৰ্ব্বক বৈরনিয্যাতন করিলেম বটে-কিন্তু ইহাব পরিণামফলে তাঙ্গকে অতি শোচনীয় দশাগ্রস্ত হইতে হুইযাচ্ছিল । মাধব নিহত হওযার পর চতুর্থ দিবসে এই সংবাদ বিজয় মাণিক্যেৰ শ্রুতিগোচব হইলে তিনি অতিশষ ক্ষুব্ধ ও ক্রোধাম্বিত হইষ এই বিষয়ের অন্সসন্ধানে প্রবৃত্ত হন । তিনি ভাবিলেন-কেবল যে মাধবেব জীবন নাশ করা হইয়াছে তাহা নহে ; ইহা দ্বারা ভীষ কাৰ্য্যেৰও প্রতিহিংসা গ্রহণ করা হইয়াছে । এই ধারণা বশতঃ তাহার ক্রোধ দ্বিগুণ বৰ্দ্ধিত হইল । 華 * + 来 “যে লোকে মাধবে বধে তাকে ধবি আনে ৷ জিজ্ঞাসিল বাজ৷ তোকে কেবা নিয়োজিল । ভয়ে কম্পমান হৈয়। সভাতে কহিল ॥ মহাদেবী আজ্ঞা দিল মাধবে বধিতে । এই অপরাধ আমার বলিল রাজাতে ॥ এই কথা শুনিয়া রাজা বড় উষ্মা হৈল । তখন প্রাস্তরে নিয়া তাহারে বধিল ॥ সেইক্ষণে মহাদেবী দিল বনবাস । হীরাপুরে রাখে রাণী জীবন নৈরাশ ॥” রাজমালা-বিজয় মাণিক্য খণ্ড ত্রিপুরার স্মৃতি ج: وهب