পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপুরেশ বিজয় মাণিক্য মাধৰেৱ হত্যাকারীর মুখে সমস্ত বিষয় অবগত হইয়। নরহত্যার অপরাধে তাহার শিরচ্ছেদন করাইলেন । তদনন্তর তীয় মহিষী লক্ষ্মী দেবীও যে এই বিষয়ে দোষী ইহা নিৰ্দ্ধারণ করিয়া বর্তমান হীরাপুর নামক জনপদে তাহাকে নিৰ্ব্বাসন পূৰ্ব্বক দ্বিতীয় দার পরিগ্রহণ করেন । “হীরাপুরে লক্ষ্মীরাণী বনবাস সেবী । পরে রাজা বিভ করে আর মহাদেবী ॥ প্রধানস্থ পাজ মিত্র রাজাতে কহিল । কতদিন পরে রাজা লক্ষ্মী রাণী নিল ॥” রাজমালা—বিজয় মাণিক্য খণ্ড উল্লিখিত বিবরণ হইতে অবগত হওয়া যায়—বিজয় মাণিক্য তদীয় সভাসদগণের বিশেষ অনুরোধে বাধ্য হইয়। কিয়ৎকাল পরে লক্ষ্মী দেবীকে পুন গ্রহণ করিয়াছিলেন । বর্ণিত ঘটনা-মূলে বিজয় মাণিক্যের মহিষী উক্ত লক্ষ্মী দেবী এইস্থানে নিব্বসিত হওয়াতে পূৰ্ব্বে এই জনপদ “লক্ষ্মীপুর’ নামে অভিহিত হইত । পরিশেষে ত্রিপুরাধিপতি উদয় মাণিক্যের “হীরাবতী” নামী রাজ্ঞীকর্তৃক ইহার নাম পরিবর্তিত হইয়া স্বীয় নামানুসারে “হীরাপুর’ আখ্যা প্রদত্ত হইয়াছিল— এইরূপ রাজমালায় বিবৃত আছে । তৎকাল অবধি এই জনপদ উক্ত নামেই অভিহিত হইয়া আসিতেছে । “হীরাপুর নাম পূৰ্ব্বে লক্ষ্মীপুর ছিল । উদয় মাণিক্য রাণী হীরাপুর কৈল ॥ রাজমালা—বিজয় মাণিক্য খণ্ড উদয় মণিক্যের মহিষী হীরাবতী দেবী কি কারণ বশতঃ উক্ত জনপদের “লক্ষ্মীপুর’ নাম এবস্তপ্রকারে পরিবর্তন করিয়াছিলেন, তাহার প্রকৃত তথ্য অবগত হওয়া যায় না । পূৰ্ব্বে এইস্থানে কতিপয় মন্দির ও নিকেতনাদির ভগ্নাবশেষ বিদ্যমান ছিল বলিয়। পল্লীবাসিগণ কহে । অধুনা তৎসমুদয় কিছুই নাই ; সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইয়। গিয়াছে। কেবল কতিপয় ইষ্টক ভূপ ও ইতস্ততঃ বিকীর্ণ ইষ্টক-রাশি সেই সকলের নিদর্শন স্বরূপ বর্তমান রহিয়াছে । ত্রিপুরার গুক্তি وست ومهنة