পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরপুর পূৰ্ব্ব-প্রবন্ধে বর্ণিত ‘উদয়পুর” নামক ত্রিপুররাজ্যের স্বপ্রসিদ্ধ প্রাচীন রাজধানীর পূৰ্ব্বদিকে, নৃনিকল্পে ১০ মাইল দূরে—“বড়মুড়া” পৰ্ব্বতমালার পূৰ্ব্ব প্রান্তে–“অমরপুর” নামে প্যাত যে এক পুরাতন জনপদ অবস্থিত, একদ উহাও ঐ রাজ্যের রাজধানী ছিল । ত্রিপুররাজ্যের মধ্যস্থ উত্তর-দক্ষিণব্যাপী উক্ত “বড়মুড়া’ নামক সুদীর্ঘ পৰ্ব্ব উমাল উদয়পুর ও এই জনপদকে বিভক্ত করিয়াছে । উল্লিখিত “অমরপুর” রাজধানীর প্রতিষ্ঠাতা ত্রিপুরাধিপতি “অমর মাণিক্য” এইস্থানে যে সমূদয় বাজনিকেতন দেব মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, তৎসমুদয়ের ভগ্নাবশেষ এবং খনিত সরোবরাদি, তদীয় কীৰ্ত্তিকাহিনী অস্থাপি জনসমাজে প্রচার করিতেছে । ৯৮২ ত্রিপুরান্দে, । ১৫৭২ খৃষ্টাব্দ ) গোপী প্রসাদ মুবা—বিজয় মাণিক্যের তনয় তদীয় জামাত ত্রিপুরেশ অনন্ত মাণিক্যকে কৌশলে নিহত করিয়া “উদয় মাণিক্য” নাম ধারণ পুধ্বকি স্বীয ক্ষমতাবলে রাজসিংহাসন আরোহণ করেন । কথিত আছে—তিনি অনন্ত মাণিক্যের জনৈক পাচিকাকে অর্থ প্রদানের দ্বার। বশীভূত করিয়া আহাৰ্য্য দ্রব্যের সহিত বিষ প্রয়োগপৰ্ব্বক তাহার প্রাণ বিনাশ করিয়াছিলেন । উদয় মাণিক্য ৯৮১ হইতে ১৮৬ ত্রিপুরাব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়া কালকবলে পতিত হইলে তদীয় পুত্র জয় মাণিক্য-কর্তৃক সিংহাসন অধিকৃত হয় । কিন্তু তিনি একবংসরের অধিককাল রাজত্ব করিতে সক্ষম হন নাই, তাহাও নামে মাত্র— প্রকৃতপক্ষে তাহার পিতৃব্য “বঙ্গনারায়ণ” কর্তৃকই রাজ্য শাসিত হইত। এদিকে বিজয় মাণিক্যের অম্বুজ-নিহত অনন্ত মণিক্যের খুল্লতাত—কুমার “রামদাস দেব” ক্রমশঃ শক্তিশালী হইয়া উঠিলে তৎকর্তৃক রাজ্য আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় তাহাকে হত্যা করিবার জন্ত রঙ্গনারায়ণ নানাবিধ উপায় উদ্ভাবন করিতে থাকে বিষপ্রয়োগ ব্যতীত উক্ত কুমারের প্রাণ বিনাশ করিবার অপর ত্রিপুরার স্মৃতি ét ত্ৰিপুৰ্বার স্মৃতি-৫