পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলেই মনে মনে করিতে লাগিলেন । কিছুক্ষণ পরে আমীর বলিয়া উঠিলেন—“ঐ আসিতেছে, ঐ যেন উত্তরদিকে কালো দাগটির মত কি দেখা যাইতেছে।” নিকটবৰ্ত্ত হইলে সকলেই বলিয়া উঠিলেন—ঘ্যাঘো বটে, নাগরা পরিয়া ঘ্যাঘো আসিতেছে। “ঘ্যাঘো নিকটে আসিলে সকলেই তাহার মহা সমাদর করিলেন। সকলেই বলিলেন—“ঘ্যাঘো! তুমি সত্যবাদী বটে! মনোদুঃখে জ্বর-জুর হইয়াও তুমি আপনার সত্যরক্ষা করিয়াছ। এখন বল, সংবাদ মঙ্গল তো?” ঘ্যাঘো বলিল,—“সু-সমাচার বটে, আমীরের স্ত্রীর আমি সন্ধান পাইয়াছি।” সকলে বলিলেন, —“তবে শীঘ্য বল, আমীরের স্ত্রী এক্ষণে কোথায়? সে ভাল আছে তো?” ঘ্যাঘো বলিল,—“হিমালয়-প্রদেশে ভীমতাল নামক একটি হ্রদ আছে। হ্রদের ভিতর পাহাড়ের গায়ে লুলু একটি ঘর খুন্দিয়াছে। জলে ডুব দিয়া তবে সে ঘরের ভিতর যাইতে পারা যায়, অন্য পথ নাই। তাহার ভিতর লুলু আমীরের স্ত্রীকে লুকাইয়া রাখিয়াছে। সেই “সে” বিহনে অশোকবনে সীতা যেরূপ কাদিয়াছিলেন, সেই ঘরের ভিতর একাকিনী বসিয়া আমীরের রমণীও সেইরূপ কাঁদিতেছেন। কেন যে কাঁদিতেছেন, তা বলিতে পারি না। লুলু আমাদের একটি সভ্য ভব্য নব্য ভূত। সে লইয়া গিয়াছে, তার আবার কান্না কি? লুল্ল তাহাকে বৎসরকাল সময় দিয়াছে। একবৎসরের মধ্যে যদি শান্ত হইয়া তাহাকে নিকা না করে, তাহা হইলে তাহাকে মারিয়া ফেলিবে। কথা। এই, মনুষ্যের সাধ্য নাই যে, হ্রদের ভিতর প্রবেশ করে, প্ৰবেশ করিয়া লুলুর ঘরে-ভিতরে যায়। আমরা ভূত হইয়া ভূতের বিপক্ষতা করিতে পারি না; তাহা হইলে ভূত সমাজে তুমার মুখ দেখাইবার যে থাকিবে না। তবে এইমাত্ৰ বলিয়া দিতে পারি যে, যদি AA হৃষ্টপুষ্ট ভূত ধরিয়া তাহার তেল বাহির করিতে পার, আর যদি সেই তেল প্ৰবেশ কর, তাহা হইলে লুলুর ঘরে ਅੰ আমাকে ধরিয়া তেল বাহির করিও নার্সর্নৈর খেদে জ্বর-জ্বর আছিই, তার উপর আবার তাতির গান শুনিয়া আমার শরীরে ভুঞ্জিক্কুরীর নাই, একবিন্দুও তেল বাহির হইবে না। তবে এক কাজ কর, এই মাঠের প্রান্তভাগে একটি গাছ আছে। সেই গাছ গোগো নামে একটি গলায়-দাড়ি ভূত বাস করে। নিকটে গ্রামের লোককে গলায় দড়ি দিয়া মরিতে সে প্রবৃত্তি দিয়া থাকে। যে কেহ তাহার প্রলোভনে পতিত হয়, সে এই গাছে আসিয়া গলায় দড়ি দিয়া মরে। শীঘ্র শীঘ্ৰ মৃত্যু হইবে বলিয়া, এই ভূত তখন তাহাদের পা ধরিয়া বুলিয়া পড়ে। তোমরা যদি এই ভূতিটিকে ধরিয়া তেল বাহির কর, তাহা হইলে আমি বড়ই সন্তোষলাভ করি। কারণ, সে দুরাচার, আমার পরম শত্ৰু। আমার যেখানে বিবাহের সম্বন্ধ হয়, সে গিয়া ভাংচী দিয়া আসে। প্রেতিনী, শঙ্খচূণী, চূড়েল প্রভৃতি নানাপ্রকার ভূতিনীদিগের সহিত আমার বিবাহের সম্বন্ধ হইয়াছিল। দুই-এক স্থানে কন্যাও দেখিতে গিয়াছিলাম, কন্যা দেখিয়াও মনও মোহিত হইয়াছিল, কিন্তু এই দুরাচার গিয়া কন্যার পিতামাতার কাছে আমার নানারূপ কুৎসা করে। সে জন্য-দুঃখের কথা বলিব কি! ভূতগিরি করিতে করিতে বুড়া হইয়া যাইলাম, আজ পৰ্যন্ত আমার বিবাহ হয় নাই। সংসারে আমি আধখানা হইয়া আছি, পুরা ঘ্যাৰ্ঘোঁ হইতে পারিলাম না। আর কত লোক দশটা-কুড়িটা বিবাহ করিয়া ষোল আনার চেয়ে বেশি হইয়া পড়ে। সে যাহা হউক, মনুষ্যের দ্বারা ভূত ধরা কিছু সহজ কথা নয়। সেকালের মত এখন আর রোজা নাই যে, ভূত ধরিয়ে পাল্কির বেহাৱা করিবে, কি গাড়ীতে যুতিয়া দিবে। কৌশল করিয়া ধরিও।” छूछ ७ शास sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro SVG טש