পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরিয়া রাখিয়াছি, তাহাকে সহকারী-সম্পাদক করিব। আর তোরে মনে করিয়াছি, সম্পাদক করিব।” গোগো বলিল,—“আমি যে লেখা-পড়া জানি না।” আমীর বলিলেন, —“পাগল আর কি! লেখা-পড়া জানার আবশ্যক কি? গালি দিতে জনিস ত?” গোগো বলিল,—“ভূতাদিগের মধ্য যে-সকল গালি প্রচলিত আছে, তাহা আমি বিলক্ষণ জানি।” আমীর বলিলেন—“তবে আর কি! আবার চাই কি? এতদিন লোকে মানুষ ধরিয়া সম্পাদক করিতেছিল, কিন্তু মানুষে যাকিছু গালি জানে, মায় অশ্লীল ভাষা পৰ্যন্ত, সব খরচ হইয়া গিয়াছে; সব বাসি হইয়া গিয়াছে। এখন দেশশুদ্ধ লোককে ভূতের গালি দিব। আমার অনেক পয়সা হইবে।” ভূত বলিল—“তবে কি তুমি গলায় দড়ি দিয়া মরিবে না? ঐ যে পাগড়ী? ঐ যে ফাস?” আমীর বলিলেন,-“আমি ত” আর ক্ষেপে নি যে, গলায় দড়ি দিয়া মরিব । পাগড়ী আর ফাঁস হইতেছে টােপ, ওরে বেটা! তোরে ধরিবার জন্য টােপ। যদি এ ফন্দি না করিতাম, তাহা হইলে তুই কি গাছের ভিতর হইতে বাহির হইতিসূ? এখন চল, ইহার ভিতর প্রবেশ কর।” এই বলিয়া আমীর তাহাকে চণ্ডুর নলটি দেখাইলেন! ভূত জিজ্ঞাসা করিল, “ও আবার কি?” আমীর বলিলেন, “ইহার নাম বায়ু, নে, শীঘ্ৰ ইহার ভিতর প্রবেশ করু।” ভূত ইতস্ততঃ করিতেছে দেখিয়া আমীর টেকোটি বাহির করিয়া বলিলেন, “দেখিতেছিল?” ভূত জিজ্ঞাসা করিল,—“ও আবার কি?” আমীর বলিলেন,-“এর নাম আটখিল্পে। সাধুভাষায় ইহাকে থকা বলে। নলের ভিতরে যদি না প্রবেশ করিস্, তাহা হইলে ইহা দিয়া তোর চক্ষু উপাড়িয়া লইব ।” বাস্তবিক থকটি তখন যেরূপ চকচক করিতে লাগিল, তাহাতে বোধ হইল যেন যে আজন্মকাল ভূতের চক্ষু তুলিয়া আসিতেছে, যেন ভূতের চক্ষু না তুলিয়া থকা কখনও ণ করে না। আর যেন আমীর যদি নাও উপড়ান্য তাে থক্‌ নিজে গিয়া সেই মুহূর্তুেড়িতের চক্ষু তুলিয়া ফেলিবে। টেকের এই প্রকট মূৰ্ত্তি দেখিয়া ভূত বড়ই ভয় পাইল, ভূঞ্জৈ লাগিল। মনে করিল,—“কাজ নাই বাপুঞ্জগুরের চাকর হইয়া, এডিটারি করিয়া না হয় খাইব, তা বলিয়া অন্ধ হইয়া থাকিতে পারি এই ভাবিয়া সে আপনার কলেবর হ্রাস করিল, আর আমীর গাছ হইতে নামিয়া আসিলেন। আমীরের মনে এখন কিঞ্চিৎ স্মৃৰ্ত্তির উদয় হইল। শিস্য দিতে দিতে তিনি গ্রামাভিমূখে চলিলেন, গ্রামে উপস্থিত হইয়া লোককে জিজ্ঞাসা করিলেন,-“তোমাদের এ গ্রামে কলুর বাড়ী আছে?” লোকে বলিল, “হাঁ আছে।” কলুর বাড়ীতে উপস্থিত হইয়া আমীর কলুকে বলিলেন, —“কলু ভায়া! আমার একটি বিশেষ উপকার করিতে হইবে। এই বঁাশের নলটির তেল বাহির করিয়া দেন, তাহা হইলে আমার বড়ই উপকার হয়।” কলু বলিল,—“তার আটক কি! এখনই দিব। তিল, সরিষা, তিসি, পোস্ত, কত কি পিষিয়া তেল বাহির করিলাম, আজ একটু ভূতের তেল বাহির করিয়া দিব, সে আর কি বড় কথা! কৈ, লইয়া এস।” দুই জনে ঘানিগাছের কাছে গেলেন। আমীর নল হইতে ভূতটিকে আস্তে আস্তে বাহির করিয়া ঘানিগাছের ভিতর প্রবেশ করাইয়া দিলেন। কলু। তৎক্ষণাৎ ঘানি চালাইয়া দিলেন। কলুর বলদ মৃদুমন্দ গতিতে ঘুরিতে লাগিল। ভূতের হাড় মড়মড় করিয়া ভাঙ্গিতে লাগিল। ভূত, ত্ৰাহি মধুসূদন! ত্ৰাহি মধুসূদন!” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল। আর বলিতে লাগিল,-“এই বুঝি তোমার এডিটারির পদ? এই বুঝি খবরের কাগজের সম্পাদকতা করা?” আমীর হাসিয়া বলিলেন, — ୬୯୭ ଓ ସ୍ତୂଷ୍ଟ SWA sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro