পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদিনের জন্যেও একটু খুঁটিয়া মুখে দাও না। কি খাও, কি না খাও, তাহাও জানি না। সাপ খাও, কি ব্যাং খাও,-কিছুই বলিতে পারি না। হয়তো কোনদিন পচা মড়া খাইয়া আমার নিকট উপস্থিত হইবে। মুখের গন্ধে আমার প্রাণ বাহির হইবে। তারপর দেখ, মানুষে পান খায়, তামাক খায়, গ্যাজ খায়, আরও কত কি খায়। আহা! আমার স্বামী আমীর কেমন চণ্ড খাইতেন! কাছে বসিয়া মনের সাধে কেমন তাঁহাকে আমি চণ্ডু খাওয়াইতাম । যখন চণ্ডুর ধূম আমার নাকে প্ৰবেশ করিত, তখন কেমন আমি স্বৰ্গসুখ লাভ করিতাম। তাহার চণ্ডুর আসবাবগুলি আমি আমার কাধের বুলি করিয়া রাখিয়াছিলাম। শয়নে উপবেশনে সৰ্ব্বদাই আমার নিকট রাখিতাম। আহা! আজ পৰ্যন্ত সেই বুলিটি আমার কাধেই রহিয়াছে।” ভূত বলিল,—“বটে! তো, আমিও চণ্ডু খাইব, নিয়ে এস, এখনি খাইব।” আমীর-রমণী বলিলেন,- “তাহা যদি করিতে পার তো বড় ভােলই হয়। ভূত-ভূতিনীদিগের কাছে তুমি সভ্য ভব্য নব্য ভূত বটে, কিন্তু আমাদের নাকে তোমাদের গায়ের একটু গন্ধ লাগে, একটু বোটুকা বোটুকা গন্ধ। রীতিমত চণ্ডুটি খাওয়া অভ্যাস করিতে পারিলে, আর তোমার গায়ে সে গন্ধ থাকিবে না, মানুষ-মানুষ গন্ধ হইবে। ভূত বলিল,—“তা দাও, খাইব।” আমীর-রমণী বলিলেন,-“কঁচা আফিম হউক, কি গুলি হউক, কি চণ্ডু হউক, অল্প অল্প করিয়া খাইতে অভ্যাস করিতে হয়। একেবারে অধিক খাইলে অসুখ করে। তোমার অসুখ করিলে প্ৰাণে আমি বড়ই ব্যথা পাইব । কারণ, তোমার প্রতি এখন আমার নব অনুরাগ বই ত” নয়? যাহা হউক, চণ্ডু শুইয়া খাইতে হয়। মুর্থ লোকের বিশ্বাস এই যে, চণ্ডু একবার অচেতন হইয়া পড়ে বলিয়া, সকলে ইহা শুইয়া খায়। এই বলিয়া আমীর-রমণী চণ্ডুর বাহির করিয়া দিলেন। প্ৰদীপের নিকট ঘরের একপার্শ্বে মাটিতে শুইয়া তাহাকে ধূৰ্তৃপীর্ন করিতে বললেন। কি করিয়া খাইতে হয়, তাহাও বলিয়া দিলেন। সে অল্প অল্পর্তুপিন করিলে, আমীর-রমণী বলিলে,-“এখন আর নয়, চরিতে যাইবার পূৰ্ব্বে পুনরায়১ে আসিয়া খাইও । কিছু কি টের পাইতেছে।” ভূত বলিল,--“আর কিছু টের না, কেবল গা চুলকাইতেছে, আর একটু বমি বমি করিতেছে।” আমীর-রমণী বলিল, V “ঐটুকুই এর আয়েস, একেই নেশা বলে।” তৃত তখন চলিয়া গেল। পুনরায় সন্ধ্যাবেলা আসিয়া আর একবার চণ্ডু খাইল । রাত্রি হইলে যথানিয়মে চরিতে যাইল। তখন আমীর আসিয়া স্ত্রীর সহিত মিলিত হইলেন। নবম অধ্যায় উদ্ধার ভূতের চণ্ডু খাওয়ার বিবরণ স্ত্রীর নিকট আদ্যোপান্ত শুনিয়া আমীর বড়ই আনন্দলাভ করিলেন। পূৰ্ব্বেকার মত কথোপকথনে দুইজনে একত্রে রাত্রি কাঁটাইলেন। প্রভাত না হইতে হইতে আপনার গৰ্ত্তে ফিরিয়া গেলেন। এইরূপ কিছুদিন চলিতে লাগিল। ভূত দিনে দুইবেলা আসিয়া চণ্ডু খায়। আমীর রাত্রিতে স্ত্রীর নিকট থাকেন। আমীর যখন দেখিলেন, চণ্ডুপানে ভূতের বিলক্ষণ অভ্যাস হইয়া গিয়াছে, আর ছাড়িবার যো নাই, তখন তিনি একদিন স্ত্রীকে ଝୁu୨ ଓ ୩ୟ୍ଯ Y CANO sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro