পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পৰ্ব্ব কপাৎ নয়ন বলিলেন,-“মনের মিল থাকে, তবে বলি ইয়ার । তোমরা হিন্দু হও, আমিও তাই। মুসলমান হও, আমিও তাই। তোমরা যে ঠাকুরগুলি মানিবে, আমিও সেগুলিকে মানিব, আমিও যে ঠাকুরগুলিকে মানিব, তোমাদেরও সেগুলিকে মানিতে হইবে। তা না হইলে মনের মিল রহিল কোথায়?” সকলেই বলিলেন—“ঠিক! ঠিক! নিয়ান বলিতেছে ভাল। আমাদেরও ঐ মত।” নয়ন বলিলেন, —“আমি হক কথা বলিব। আজ আমার অবস্থা একটু ফিরিয়াছে বলিয়া, পুরাতন বন্ধুদের আমি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিব না; তবে দেশের হাওয়া বুঝিয়া আমি তোমাদিগকে কাজ করিতে বলি। আজকাল দেশের যেরূপ হাওয়া পড়িয়াছে, তাতে সেকালের মত আর হাবড় হাটী ব্ৰহ্মজ্ঞান তেত্ৰিশ কোটি দেবতার পায় তেল দিলে চলিবে না। উহারই মধ্যে দুইচারিটি মাতালো মাতালো দেবতা বাছিয়া লইতে হইবে। পূজা দিতে হয়, সেই দুই-চারিটি দেবতার দাও। আর সব দেবতারা মুখ হাঁড়ি করিয়া থাকেন, থাকুন! ঘরের ভাত বেশী করিয়া বিধাবেন ।” সকলেই বলিলেন,-“ঠিক! ঠিক! ঠিক কথা! হাবড়-তাবিড় তেত্ৰিশ কোটির চাল-কলা যোগায় কে হে, বাপু! পূজা না পাইয়া মুখ হাঁড়িান্তৰ্ভক্টরিয়া বসিয়া থাক, থাক! বেচারি গুলিখোরদের যে পুঁটিমাছের প্রাণ, সে-টি তো হবে? উহার মধ্যে দু-একটি বাছিয়া লও, লইয়া বাকী সব না-মঞ্জুর করিয়া দাও।” 69* নয়ন বলিলেন, —“আমারও ঠিক ঐকৰ্মৰ্ত”। ভাবিয়া-চিন্তিয়া আমি দুই দেবতা বাহির করিয়াছি, এক গেলেন, কাটিগঙ্গা, আরুঞ্জিক হইলেন ফণী-মনসা বাকী সব না-মঞ্জুর। সকলেই একবাক্য হইয়া সায় দিলেন। সকলেই স্বীকার করিলেন যে, এই দুইটি দেবতাই অতি চমৎকার দেবতা। আর সমুদয় দেবতাকে না-মঞ্জর করিয়া, মাটিতে মাথা ঠুকিয়া, এই দুইটি দেবতাকে সকলে প্ৰণাম করিতে লাগিলেন। মাটিতে মাথা ঠুকিতে ঠকিতে সকলে বলিলেন, —“হে মা কাটিগঙ্গা! হে বাবা ফণী-মনসা। তোমাদের পায়ে গড়। ওঁ নমঃ! ওঁ নম। ওঁ নমঃ ।” নয়ন পুনরায় বলিলেন, —“কিন্তু এখনও আসল দেবতাটির কথা বলা হয় নাই। শেষে বলিব, তাই মনে করিয়া সেটি বাকী রাখিয়াছি। সে দেবতাটি, মা শীতলা। তাঁরই বরে আমার সুখ, সম্পত্তি আর আমার ঐশ্বৰ্য্য। সাবধান! কাঁচা-খাওয়া দেবতা!” সকলেই বলিলেন, —“সাবধান! কাঁচা-খাওয়া দেবতা!” নয়ন বলিলেন, —“এ বাপু ঘেটু নয়, পেচো নয়, তোমার মাণিকপীর নয়। এ মা শীতলা! ইংরেজী খবরের কাগজে পৰ্যন্ত মার নাম বাহির হইয়াছে। মার বরে আমার সব।” । শীতলার নাম শুনিয়া সকলেই স্তম্ভিত ।। ভয়ে সকলের প্রাণ আড়ষ্ট হইয়া উঠিল। আর একটু আগে তেত্ৰিশ কোটি দেবতা না-মঞ্জর হইয়া গিয়াছিল। আড়াল হইতে পাছে শীতলা সে কথাটি শুনিয়া থাকেন, এই ভয়ে সকলের মনে ঘোরতর আতঙ্ক উপস্থিত হইল। উপস্থিত সভ্যদিগের মধ্যে গগন একটু সাহসী পুরুষ ছিলেন। অতি সাহসে ভর করিয়া গগন জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি করিয়া হইল, ভাই? তুমি আট পয়সার চিনি-জলে সোলা ফেলিয়া, Str& দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comৰ্ম্মিািকস্তানাখ টনসিংখ*