পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাকে সম্বোধন করিয়া যম বলিলেন, —“কেমন হে মিত্তির-জা। চিত্রগুপ্তের মুখে তোমার হিসাব শুনিলে তো! এখন তুমি কি করিতে চাও! তোমার যে রীতিমাত্র পুণ্যটুকু আছে, আগে তাহার ফলভোগ করিয়া লইতে চাও, না আগে পাপের ভোগ ভুগিতে চাও?” আমি উত্তর করিলাম,-“মহাশয়! আপনার এখানে কিরূপ দস্তুর, কিরূপ আইনকানুন, তা তো আমি জানি না? আমাকে একটু বুঝাইয়া বলুন, আমার পুণ্যের ফল কিরূপ হইবে, আর পাপের ভোগই বা কি প্রকার হইবে? তারপর আমি আপনাকে বলিব, আগে আমি কোনুটি চাই ।” যম উত্তর করিলেন,-“সমস্ত জীবন তুমি উৎকট উৎকট মহাপাতক করিয়াছ। সেজন্য চিরকাল তােমাকে রৌরব প্রভৃতি নরকে বাস করিতে হইবে। তােমার গলিত দেহে কৃমি প্রভৃতি নানারূপ ভয়াবহ কীট দংশন করিবে, অগ্নিতে তোমাকে পুড়িতে হইবে। অষ্টপ্রহর যমদূতে তোমার মাথায় ডাঙ্গস মারিবে। সাড়াসী দিয়া যমদূতে তোমার গায়ের মাংস ছিড়িবে। বিধিমত। তোমার যন্ত্রণা হইবে, যাতনায় তুমি চীৎকার করবে। চিরকাল তোমাকে এইরূপ শাস্তিভোগ করিতে হইবে। তবে সেই যে, সামান্য একটু নামমাত্র পুণ্য করিয়াছিলে, মরিবার পূৰ্ব্বে সেই যে মর-মর ঐড়ে বাছুরটি ব্ৰাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন, কেবলমাত্র একদিনের জন্য সেই পুণ্যটুকুর ফলভোগ করিতে পাইবে। সেই ঐড়ে গরুটি এখন এখানে আসিয়াছে। একদিনের জন্য তাহারে তুমি যা আনিয়া দিতে বলিবে, তাহাই সে আনিয়া দিবে; যা করিতে বলিবে, তাহাই সে করিবে। তোমার পুণ্যের ফল। এই।” আমি বলিলাম,-“পুণ্যের ফলটি আমি প্রথমে য়া লইব । পাপের দণ্ড যাহা হয়, তাহার পর আপনি করিবেন।” যম আজ্ঞা করিলেন,-“ওরে! মিত্তির-ড কুঃসই ar ঐড়ে গরু আনিতে যমদূত সব ఫ్లాష్ట్ర আমি দেখিলাম, এখন আর সে অস্থিম্বুস্ট্রর এঁড়ে বাছুর নাই! আমার ঘরে খাবার কষ্ট ছিল, যমের ঘরে তো আর সে কষ্ট ছিল না! যমপুরীতে অনেক খোল-ভূষি খাইয়া বাছুরটি এখন বিপৰ্যয় এক ষাঁড় হইয়াছিল। লম্বা লম্বা বিপৰ্যয় দুই সিং! দেখিলে হরিভক্তি উড়িয়া যায়! চক্ষু ঘোর রক্তবর্ণ রাগে আস্ফালন করিয়া ফোঁশ-ফোশ করিতেছে। রাগে পা দিয়া মাটি চষিয়া ফেলিতেছে। কারে যুঁতাই, ধরিয়া চারি জন যমদূতে টানিয়া রাখিতে পারিতেছে না। যম বলিলেন,—“মিত্তিরজা! এই তোমার সেই ঐড়ে গরু! তুমি ইহাকে যাহা বলিবে, এই এঁড়ে গরু আজ সমস্ত দিন তাহাঁই করিবে।” এঁড়ে গরুকে ছাড়িযা দিবার নিমিত্ত যম আদেশ করিলেন। চক্ষু রক্তবর্ণ করিয়া, ঘাড় হেঁট করিয়া সিং নীচে করিয়া, ঐড়ে গরু আসিয়া আমার নিকট দাঁড়াইল । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—“কেমন হে এঁড়ে গরু ! আজি আমি তোমাকে যা বলিব, তাই তুমি করিবে তো?” ঐড়ে গরু উত্তর করিল,—“আজ্ঞে হী! আজি সমস্ত দিন। আপনি যাহা করিতে হুকুম করিবেন। আমি তাহাঁই করিব।” আমি বলিলাম,-“ঐড়ে গরু ! তবে তুমি এক কাজ করা। তোমার একটি সিং যমের নাভিকুণ্ডলে প্রবিষ্ট করিয়া দাও, আর একটি সিং চিত্রগুপ্তের নাভিকুণ্ডলে দিয়া, আজ সমস্ত দিন এই দুই জনকে ঘুরাও, সমস্ত দিন দুই জনকে বন-বনু করিয়া চরকীর পাক খাওয়াও।” SFR friis ožogo &8! Mwww.amarboicomo* &ziz