পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পৰ্ব্ব পরিশেষ আডিডাধারী মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন, —“আচ্ছা নয়ান! সেই যে আর একটি ভূত সেখানে বসিয়াছিল, সে ভূতটি কে? তুমি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলে?” নয়ন উত্তর করিলেন, —“হী, করিয়াছিলাম! শুনি যে, সেটি নেই-আঁকুড়ে দাদার ভূত। মৰ্ত্তে আসিবার পূৰ্ব্বে তাহাকেও উদ্ধার করিবার নিমিত্ত, মিত্তির-জা নারায়ণের অনুমতি পাইয়াছিলেন।” সকলে জিজ্ঞাসা করিলেন,-“র্তাহার পর কি হইল?” নয়ন বলিলেন, “শীতলাটি হাতে করিয়া আমি র দাঁড়াইলাম। ভূত দুইটি সরু সরু বাঁশের সলার মত লম্বা হইল। তাহার পর মত একে একে সোঁ-সো করিয়া ঠ পর তুমি কি করিলে?” নয়ন বলিলেন,—“আমি বাসায় ফিক্লিয়া আসিলাম। আগে যদি একগুণ পসার ছিল, এখন র। সেই ধারা এম-এ পাশ দিয়াছে, সভা করিয়া তাহারা আমার শীতলার বক্তৃতা করিল। খবরের কাগজে আমার শীতলার নাম উঠিল। ফিরিঙ্গিরা আসিয়া আমার শীতলার পূজা দিতে আরম্ভ করিল। একদিন লোক সব হাঁড়ি-চড়ানো বন্ধ করিয়া খাইকলা খাইয়া রহিল। আমার বুজরুকি চারিদিকে খুব জহির হইল। ক্রমে আমি বসন্তের ডাক্তার হইলাম। টাকাকড়ি ঘরে ধরে না। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যক্রমে মরসুমটি কমিয়া গেল। সাহেবরা গণিয়া বলিয়াছেন যে, আবার পাঁচ বৎসর পরে সেইরূপ হিড়িক পড়িবে। তখন তোমাদেরও এক একটি শীতলা বানাইয়া দিব। রাত্রি হইয়াছে। আজ আর নয়। এস, একবার সাধের দেবতাগুলিকে নমস্কার করিয়া আপনার আপনার ঘরে যাই ।” সকলে মাটিতে মাথা ঠুকিতে লাগিলেন। আর বলিতে লাগিলেন, —“হে মা কাটিগঙ্গা! হে বাবা ফণী মনসা ! তোমাদের পায়ে গড়, ওঁ নমঃ ওঁ নমঃ, নমঃ।” sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro