পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরবালাকে ধরিয়া স্নান করাইল। পাহাড়ের মাথায় দেবতার মন্দিরে গিয়া পূজা দিল। যথাবিধি বীরবালাকে উৎসর্গ করিল। বলিদান দিবার নিমিত্ত বীরবালাকে পাহাড়ের ধারে লইয়া গেল । একদিকে পাহাড়, অপরদিকে অতল গিরিগহবর। কোপ মারিবার নিমিত্ত কামার-ভূত খাড়া তুলিল। বীরবালা ভাবিলেন,-“মরিলাম তো । মরিতে তো আর বাকী নাই। কিন্তু আমার মাংস লইয়া সবুজ ভূতেরা যে পিঠে করিয়া খাইবে, তাহা দিব না।” এই মনে করিয়া তিনি পৰ্ব্বতের শিখরদেশ হইতে ঝাঁপ দিলেন। শূন্যপথে বীরবালা পাহাড়ের তলদেশে পড়িতে লাগিলেন । পাহাড়ের গায়ে একখানি পাথরের উপর সবুজ ভূতাদিগের একটি ছেলে বসিয়াছিল। ভাল কাপড়-চোপড় পরিয়া সবুজ-বুড়ীর বাড়ীতে সে নিমন্ত্রণ খাইতে আসিয়াছিল। সবুজ বুড়ীর বাড়ীতে আজ মানুষের পিঠে হইবে, পৌষপাৰ্ব্বণের দিনে পেট ভরিয়া মানুষের পিঠে খাইবে। তাই, মনের আনন্দে ভূতের ছেলেটি পায়ের উপর পা-দিয় পাথরের উপর বসিয়া আছে। পড়িবি তো পড়, বীরবালা গিয়া তাহার ঘাড়ে পড়িলেন। অকস্মাৎ কি আসিয়া আকাশ হইতে ঘাড়ে পড়িল, সেজন্য ভূত-বালক চমকিয়া উঠিল। তাহার বড় ভয় হইল। নিমন্ত্রণ খাওয়া ঘুরিয়া গেল। পলাইবার নিমিত্ত সে আকাশে উড়িল। দৃঢ় রূপে বীরবালা তাহার গলা জড়াইয়া ধরিলেন। আকাশে উড়িতে উড়িতে ভূতাবালক ক্ৰমাগত গা-ঝাড়া দিতে লাগিল, কিন্তু বীরবালা তাহাকে কিছুতেই ছাড়িলেন না, বীরবালাকে সে কিছুতেই ফেলিয়া দিতে পারিল না। উড়িতে উড়িতে ভূতাবালক গিয়া মহাসমুদ্রের উপর উপস্থিত হইল, উড়িয়া উড়িয়া তাহার শ্রান্তি বোধ হইল। সমুদ্রের উপর একখানি জাহাজ সৈ দেখিতে পাইল । সেই জাহাজের মাতুলের উপর ভূতাবালক গিয়া বসিল। এই স্ত্রীরবালা তাহার গলা ছাড়িয়া দিলেন, আর হাত দিয়া মাস্তুলের দড়ি ধরিলেন। ছাড়ান তবালক তৎক্ষণাৎ উড়িয়া পলাইল । মাতুল হইতে বীরবালা নামিয়া র উপর আসিয়া দাঁড়াইলেন। জাহাজের লোকে তাঁহাকে ঘিরিয়া দাঁড়াইলেন। সকলে খ্ৰীষ্টাৰ্য্য হইল যে এই অকূল সমুদ্রের মাঝখানে জাহাজের উপর মানুষ কোথা হইতে আসিল। হইতে পড়িল না কি? যাহা হউক, বীরবালা সেই জাহাজে রহিলেন। অল্পদিন পরে প্রবল ঝড় উঠিল, পৰ্ব্বতপ্ৰমাণ তরঙ্গ দ্বারা মহাসমুদ্র আলোড়িত হইতে লাগিল; জাহাজ ডুবিয়া যাইবার উপক্রম হইল। জাহাজের লোক মনে করিল, বীরবালার আগমনেই তাঁহাদের এই বিপদ ঘটিতেছে। এ মনুষ্য নয়। ভূত কি ডাইন হইবে। আকাশ হইতে মানুষ আবার কবে কোথায়, জাহাজের উপর পড়ে? এই মনে করিয়া রাত্রিকালে তাহারা বীরবালাকে সমুদ্র-জলে ফেলিয়া দিল। তরঙ্গ দ্বারা তাড়িত হইয়া ভাসিতে ভাসিতে বীরবালা চলিলেন। অল্পকালের মধ্যেই তিনি জ্ঞানশূন্য হইয়া পড়িলেন। যখন জ্ঞান হইল, তখন তিনি দেখিতে পাইলেন যে, সমুদ্র-কূলে বালির উপর পড়িয়া আছেন। আস্তে আস্তে উঠিলেন, উঠিয়া চলিতে লাগিলেন। চারিদিকে বালুকা-প্ৰান্তর, ধূ-ধূ করিতেছে, তাহার সীমা নাই, অন্ত নাই। যাহাতে যাহাতে একটি মনুষ্যের সহিত সাক্ষাৎ হইল। উটে করিয়া মনুষ্যটি আসিতেছে। বীরবালাকে ধরিয়া সে আপনার নিকট উটের পৃষ্ঠে বসাইল, উট চালাইয়া দিল। সাত দিন সাত রাত্রি বীরবালা সেই মনুষ্যের সহিত উটের পৃষ্ঠে যাইলেন। অবশেষে তাঁহারা একটি নগরে গিয়া উপস্থিত হইলেন। সেই মনুষ্য বীরবালাকে লইয়া একজন অর্থবান ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করিল। ক্রেতার নাম ইব্রাহিম। বীরবালা এক্ষণে জানিতে পারিলেন যে, তিনি আরবদেশে মক্কা নগরে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। ଦ୍ରୁv୬ ଓ ସ୍ତୂଷ୍ଟ s sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro Ro في