পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরবালা দেখিলেন, সত্য সত্যই সাহেব-ভূতের শরীরের যোড় সব খুলিয়া যাইতেছে। হাত, পা, নাক, কান খসিয়া পড়িতেছে। সািভয়ে বীরবালা বলিলেন, —“মহাশয়! আপনি যে এখানে বসিয়াছিলেন, তাহা জানিতাম না। আপনার শরীরের যোড় যে এত ভঙ্গুর, তাহাও জানিতাম না। তাহা যদি জানিতাম, তাহা - হইলে ধীরে ধীরে নিশ্বাস ফেলিতাম।” সাহেব-ভূত পুনরায় বলিলেন,—“আমার আঙ্গুল খসিয়া গেল, এখন আঙটি পরিব কোথায়? হাত খসিয়া গেল, বালা পরিব কোথায়? পা খসিয়া গেল, মল পরিব কোথায়? নাক খসিয়া গেল, নোলক পরিব কোথায়? কান খসিয়া গেল, মাকড়ি পরিব কোথায়?” সাহেব-ভূতের দুঃখে বীরবালা দুঃখিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,—“মহাশয়! ইহার কি কোনও উপায় নাই?” ভূত বলিলেন, —“যদি তুমি কাদা দিয়া আমার হাত-পা ভাল করিয়া যুড়িয়া দিতে পাের, তাহা হইলে আমি ভাল হই।” বীরবালা তাঁহাই করিলেন। সুস্থ হইয়া সাহেব-ভূত বীরবালার সমুদয় বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করিলেন। সকল কথা পরিচয় দিয়া বীরবালা সাহেব-ভূতকে বিলাত যাইবার উপায় জিজ্ঞাসা করিলেন। সাহেব-ভূত বলিলেন, —“তার ভাবনা কি? আমি এইক্ষণেই তোমাকে টেলিগ্রাফে বিলাত পাঠাইয়া দিতেছি। জন-সাহেব কমলাকে বিলাত লইয়া গিয়াছেন, রঙ্গিণী মেমের নিকট তোমাকে আমি পাঠাইব । আমি জীবিত থাকিতে রঙ্গিণী আমার স্ত্রী ছিলেন। জন-সাহেবের মেমের সহিত রঙ্গিণীর ভাব আছে।” এই বলিয়া সাহেব-ভূত সমুদ্রের বালি দিয়া বড় একটুি টেলিগ্রামের তার প্রস্তুত করিলেন। বীরবালাকে তাহার ভিতর প্রবেশ করিতে বলিলেন। নাড়িলেন, আর সেই মুহূৰ্ত্তেই বীরবালা বিলুর্তুেগিয়া উপস্থিত হইলেন। একেবারে রঙ্গিণীর ঘরের ভিতর গিয়া পৌছিলেন। আরসির দাঁড়াইয়া রঙ্গিণী তখন বেশভূষা করিতেছিলেন, মুখে পাউডার মাখিতে ছিলেন। ঘরের ভিতর আসিতে দেখিয়া তিনি চমকিত হইলেন। রঙ্গিণীর নিকট বীরবালা সকল পরিচয় দিলেন। বীরবালা তাঁহার নিকট দুই-একদিন বাস। করিলেন। তাহার পর রঙ্গিণী তাঁহাকে জন-সাহেবের নিকট লইয়া যাইলেন। জন-সাহেব বলিলেন যে, বোগদাদ হইতে কমলাকে তিনি বিলাতে আনিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু এখানে আনিয়া কন্যাটিকে বিজয়ার হন্তে সমর্পণ করিয়াছেন । বিজয়া অতি সন্ত্ৰান্ত মহিলা, অতি দয়াময়ী, অতি পবিত্ৰ-প্ৰাণা। শিশুটিকে তিনি নিজের কন্যার ন্যায়, অতি যত্নে প্রতিপালন করিতেছেন। এই কথা শুনিয়া বীরবালা বিজয়ার নিকট গমন করিলেন। কমলাকে দেশে লইয়া যাইবার নিমিত্ত প্রার্থনা করিলেন। অতি মধুরভাবে বিজয়া বলিলেন, —“কমলা আমার প্রাণস্বরূপ। কমলাকে আমি কিছুতেই দিতে পারিব না।” ভূমে জানু পাতিয়া, যোড়হন্তে বীরবালা স্তুতি-বিনতি করিতে লাগিলন। বীরবালা বলিলেন—“মহােদয়া! দয়াময়ি! দয়াময়ী বলিয়া সকলে আপনাকে জানে। আপনার প্রভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ লক্ষ লক্ষ দাস দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়াছে। আপনি পবিত্রতাময়ী। আপনার পবিত্ৰতা আদর্শস্থল হইয়া ঘরে ঘরে আজ পবিত্রতার আবির্ভােব করিয়াছে। আমার পতিধৰ্ম্মের প্রতি আপনি কৃপা করুন। আমার শ্বশুর ভারতসিংহের প্রতি আপনি কৃপা করুন। ভারতসিংহ বৃদ্ধ, বুদ্ধিহীন হইয়াছে। তাঁহার সংসার আজ শ্মশানভূমি হইয়াছে। কমলাকে প্ৰদান করুন। ধৰ্ম্মকে আমি পুনরায় দেশে আনয়ন করি! ভারতসিংহের ଦ୍ରୁU୬ ଓ ସ୍ତୂଷ୍ଟ ෆුෂ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro SOR