পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবু বলিল,- “কুসী! তুমি একবার ঘরের বাহিরে যাও। ডাক্তারবাবু আমার কাঁধ পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন । রক্ত দেখিলে তোমার ভয় হইবে।” কুসী। উত্তর করিল,— “না। বাবু! তুমি আর যা বল, তাই করিব, তোমাকে একেলা ছাড়িয়া আমি এ ঘরের বাহিরে যাইব না ।” বাবু বলিল,- “আচ্ছা কুসী! তবে তুমি এককাজ করা, ঘরের ঐ কোণে দাঁড়াইয়া প্রাচীরের দিকে মুখ করিয়া থাকা; আমার দিকে চাহিও না। যদি আবশ্যক হয়, তাহা হইলে তোমাকে আমি ডাকিব ।” কুসী আস্তে আস্তে ঘরের কোণে গিয়া দাঁড়াইল। প্রাচীরের দিকে মুখ করিয়া রহিল। পঞ্চম পরিচ্ছেদ ঘোরতর সন্দেহ বাবু আপনার স্কন্ধের দিকে দৃষ্টি করিয়া, চক্ষু টিপিয়া আমার প্রতি ইসারা করিল। কিন্তু সে ইঙ্গিতের অর্থ কি, তাহা আমি বুঝিতে পারিলাম না। তাহার পর বাবু বলিল,— “আমি বড় পড়িয়া গিয়াছি। কাশীর ঘাট উচ্চ। সেই ঘাট হইতে গুড়িয়া গিয়াছি। নিম্নে একখণ্ড তীক্ষা প্রস্তর ছিল। আমার কাঁধে তাহা ফুটিয়া গিয়াছিল। ভূৰ্জক রক্ত পড়িয়াছে।” এই কথা বলিয়া তাহার গায়ে যে বিছানার ড্ৰেট, চাদরখানি ছিল, প্রথম সেই চাদরখানি বাবু খুলিয়া ফেলিল; তাহার পর স্কন্ধে আহতুৰ্থর্নৈ যে ছিন্ন চাদর বাধা ছিল, তাহাও খুলিয়া ফেলিল । আমি দেখিলাম যে, স্কন্ধে একটি টর্গোলাকার ছিদ্র হইয়াছে। প্রস্তরখণ্ড দ্বারা আহত হইলে সেরূপ ক্ষত হয় না; বন্দুক অথবা পিস্তলের গুলী লাগিলে যেরূপ গোলাকার ছিদ্র হয়, তাহাঁই হইয়াছিল। বাবু বলিল,— “সমস্ত দিন ইহা হইতে এরূপ রক্ত পড়ে না; অল্পক্ষিণ হইল, অধিক শোণিত স্রাব হইতেছে।” এই কথা বলিয়া বাবু পুনরায় চক্ষু টিপিয়া আমার প্রতি ইঙ্গিত করিল। এবার আমি তাহার অর্থ বুঝিলাম । পিস্তলের গুলী দ্বারা সে যে আহত হইয়াছিল, একথা সে বালিকার নিকট গোপন করিতেছিল। সেই কথা গোপন রাখিবার নিমিত্ত ইঙ্গিত দ্বারা আমাকে সে অনুরোধ করিতেছিল। বাবুর স্কন্ধে গুলীর দাগ দেখিয়া পুনরায় আমার বড় সন্দেহ হইল। এই বালিকা প্রকৃত কি ইহার স্ত্রী নহে? অন্য কাহারও স্ত্রী অথবা কাহারও কন্যাকে বাবু কি বাহির করিয়া আনিয়াছে? সে নিমিত্ত কন্যার স্বামী, পিতা, ভ্রাতা অথবা কোন আত্মীয় ইহাকে কি গুলী মারিয়াছে? আমার মনে ঘোরতর সন্দেহ উপস্থিত হইল। আমি ভাবিলাম,- “এই পাপিষ্ঠ নরাধাম লক্ষ্মীরূপা বালিকার ইহকাল পরকাল নষ্ট করিয়াছে। যাহারা ইহাকে গুলী করিয়াছিল, একবারে তাহারা ইহাকে বধ করে নাই কেন? আমি ইহার চিকিৎসা করিব না। রক্তস্রাব হইয়া এ মৃত্যুমুখে পতিত হউক। তাহার পর, বালিকাকে আমি তাহার পিতার নিকট পঠাইয়া দিব।” এইরূপ ভাবিতেছি, এমন সময় বাবুর মুখের দিকে আমার দৃষ্টি পড়িল। তাহার মুখে ভয় অথবা ফোকুলা দিগম্বর sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro RSd