পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই, সৰ্ব্বদাই যেন সেইরূপ বােধ হইত। পরিবার বিয়ােগ হইলে লোকে যে বলে, 'গৃহ-শূন্য' হইয়াছে, সে সত্যকথা। গৃহ-শূন্য হওয়ার ভোগও আমি একবার ভুগিয়াছি। আমার শরীরটা কিছু মায়াবী । সহজেই আমি কাতর হইয়া পড়ি। আমার প্রথম পত্নীর যখন বিয়োগ হয়, তখনও আমি পাগলের ন্যায় হইয়া পড়িয়াছিলাম।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,--“কবে সে ঘটনা ঘটিয়াছে?” রসময়বাবু উত্তর করিলেন, —“সে অনেকদিনের কথা । তখন আপনাদের সহিত আমার আলাপ হয় নাই। সেই পরিবারের শোকে আমি দেশত্যাগী হই। নানাস্থানে ভ্ৰমণ করিয়া অবশেষে ব্ৰহ্মদেশে গিয়া উস্থিত হই। কমিসেরি বিভাগে ভাল কৰ্ম্ম মিলিল, সেজন্য সেই স্থানেই রহিয়া যাইলাম। আপনি এখন এ স্থানে কিছুদিন থাকিবেন?” আমি উত্তর করিলাম,-“না, শীঘ্রই কাশীরে যাইব বলিয়া মানস করিতেছি। সীমান্তের কথা খবরের কাগজে অনেক পড়িয়াছি। সেই সীমান্ত কিরূপ, তাহা দেখিবার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সে দিকে কাহাকেও আমি জানি না। পাঠানদের উপদ্রবের কথা শুনিয়া অপরিচিত স্থানে একেলা যাইতেও সাহস করি না। সেজন্য কাশ্মীরে যাইব মনে করিতেছি?” রসময়বাবু বলিলেন, —“তার ভাবনা কি? আমি উজিরগড়ে থাকি। সে স্থান একেবারে সীমান্তে । আমাদের পল্টন এখন সেই স্থানে রহিয়াছে। উজিরগড় ছোট একটি ছাউনি, চৌকি বলিলেও চলে। সে স্থানে বাঙ্গালী অধিক নাই, আমরা কেবল আটজন সেখানেই আছি। আপনাকে অতি আদরে আমরা রাখিব । দেখিবার কিছু আছে, তাহা দেখাইব । আমি বিবাহ করিতে কলিকাতা গিয়াছিলাম । স্ত্রী লইয়া উজিরগড়ে প্রত্যাগমন করিতেছি। আপনি আমার বাসায় থাকিবেন। কি ৱৰ্লন? উজিরগড়ে যাইবেন তো?” আমি উত্তর করিলাম,-“আচ্ছা, যাইবুর্গকিন্তু কাশীর দেখিতে আমার মন হইয়াছে। কাশীর হইতে প্রত্যাগমন করিয়া আপনার যাইব ।” রসময়বাবু বলিলেন,-"১৫ই পূৰ্ব্বে যদি আমার নিকট গমন করেন, তাহা হইলে আমার বড় উপকার হয়। সেইদিন কন্যার বিবাহ হইবে। আপনারা পাঁচজনে দাঁড়াইয়া থাকিলে সেই কাজ সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহিত হইবে।” আমি আশ্চৰ্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম,-“আপনার কন্যা? আপনার আবার কন্যা কোথা হইতে আসিল? সগৰ্ভ সপুত্ৰ সকন্যা স্ত্রী বিবাহ করিয়া আনিলেন না কি?” রসময়বাবু একটু হাসিয়া উত্তর করিলেন, —“তা নয়! এ আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কন্যা।” আমি বলিলাম,-“আপনার প্রথম পক্ষের স্ত্রী তো বহুকাল গত হইয়াছে। বৰ্ম্মায় তোর-চৌদ বৎসর আমরা একত্রে ছিলাম। আপনি এই বলিলেন, তাহার পূৰ্ব্বে আপনার স্ত্রী-বিয়ােগ হইয়াছিল। এতবড় অবিবাহিতা কন্যা আছে? ব্ৰহ্মদেশে থাকিতে আপনার এ কন্যার কথা কখন শুনি নাই।” রসময়বাবু উত্তর করিলেন,-“সে সকল কথা আমি আপনাকে পরে বলিব। কন্যা বড় হইয়াছে সত্য। এদেশে একটি ভাল পাত্ৰ স্থির করিয়াছি। বিবাহ করিতে তিনি দেশে যাইতে পরিবেন না। তাই আমি কন্যা আনিতে গিয়াছিলাম। দেশে সেইজন্যই আমি গিয়াছিলাম । নিজে বিবাহ করিব বলিয়া যাই নাই। কিন্তু দেশে উপস্থিত হইয়া একটি বড় পাত্রী মিলিয়া গেল। আমার মন উদাসী ছিল। আমি নিজেও বিবাহ করিলাম। বিদেশে বিবাহ দিবার নিমিত্ত কেবল কন্যাকে ঘাড়ে করিয়া আনা ভাল দেখায় না, সেই কারণে নববিবাহিতা স্ত্রীকে সঙ্গে ফোকুলা দিগম্বর sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro ՀՀԳ