পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ ভাগ প্রথম পরিচ্ছেদ । মৃত্যু নহে মূচ্ছিা! বরযাত্রীদিগের বাসায় গমন করিয়া, নীরবে একপার্শ্বে আমি উপবেশন করিলাম। সে স্থানে বসিয়া একবার দিগম্বরবাবুর মুখ-পানে চাহিয়া দেখি, একবার ‘বাবুর মুখখানি স্মরণ করি। দেবকুমার ও বান্দরে যদি তুলনা হয়, তথাপি এ দুইজনে তুলনা হয় না। ‘বাবু’র জন্য শোক হইল, কুসীর দুঃখে ঘোরতর দুঃখিত হইলাম। আজ কুসীর মৃত্যু না হউক, কিন্তু কুসী যে আর অধিক দিন বঁচিবে না, তাহা এখন আমি নিশ্চয় বুঝিলাম। কুসী মরিয়া যাইবে, তাহা ভাবিয়া আর আমার বড় কষ্ট হইল না। “বাবু যে স্থানে গিয়াছে, কুসীও সেই স্থানে যাউক, এখন বরং সে ইচ্ছা আমার মনে উদয় হইল। রাত্রি দশটা বাজিয়া গেল, পুনরায় বিবাহের লগ্ন উপস্থিত হইল। রসময়বাবু নিজে এবার বির লাইতে আসিলেন। আমাকে দেখিয়া তিনি বললেন,-“আপনি গুলী বসিয়া আছেন? আপনাকে এতক্ষণ খুঁজতুেছিলাম। কেন ভাই, এত বিমর্ষ কেন?” ৫৯৮ আমি উত্তর করিলাম,- “আপনার আমি কিছু চিন্তিত আছি।” রসময়বাবু উত্তর করিলেন, — “ র এই কাজটা ভালয় ভালয় হইয়া গেলে হয় । স্ত্রীলোক! গহনা-গাঁঠি পাইয়া মনে হইলে, এরূপ ভাবটা কাটিয়া যাইবে । শুনিয়াছি, বাতশ্লেষ্মা বিকার হইলে একটা না একটা অঙ্গহানি হয়; অঙ্গহানি না হইয়া কুসীর মন বিকৃত হইয়াছে।” বর ও বরযাত্ৰিগণ গাত্ৰোথান করিলেন। রসময়বাবুর বৈঠকখানাটি প্রশস্ত ছিল; তাহার একপার্থে বাড়ীর ভিতরের সামিল ছােট একটি ঘর ছিল। বৈঠকখানার সেই অংশে ক্ষুদ্র ঘর দিয়া বাটীর ভিতর যাইবার দ্বারের নিকট কন্যাসম্প্রদানের স্থান হইয়াছিল। বৈঠকখানার অবশিষ্ট অংশে বরযাত্রী ও কন্যাযাত্রীদিগের বসিবার স্থান হইয়াছিল। বর, বরযাত্রী ও নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ সভায় উপবেশন করিলেন। রসময়বাবুর বাটীর বাগান ও সম্মুখে প্রশস্ত রাজ-পথ লোকে পূর্ণ হইয়া গেল। বাটীর ভিতর বাঙ্গালী, পাঞ্জাবী ও হিন্দুস্থানী স্ত্রীগণের কলরবে: প্ৰতিধ্বনিত হইতে লাগিল। ኴ বিবাহের লগ্ন উপস্থিত হইল। কন্যা-সম্প্রদান করিবার নিমিত্ত রসময়বাবু সভাস্থ লোকদিগের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। তাহার পর, বিবাহস্থানে তিনি নিজের আসনে গিয়া উপবেশন করিলেন; বির তাহার সম্মুখে উপবিষ্ট হইলেন। দুই পুরোহিত দুইজনের পশ্চাতে বসিলেন । যথাবিধি সঙ্কল্পাদি মন্ত্র পাঠের পর, বিবাহ স্থলে কন্যা আনয়নের নিমিত্ত আদেশ হইল। ফোকুলা দিগম্বর Nos sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro