পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি সে ভিড় কমাইতে পারি নাই। সেই ভিড়ের পশ্চাৎ দিকে এখন একটু গোল উঠিল। সকলে দেখিল যে, একজন সন্ন্যাসী অতি ব্যগ্রভাবে দুইহাতে দুইদিকে লোক সরাইয়া, ভিড় ঠেলিয়া অগ্রসর হইতেছেন। গৈরিক বস্ত্ৰ দ্বারা সন্ন্যাসীর দেহ আবৃত ছিল। তাঁহার শরীর ধূলায় ধূসরিত হইয়াছিল। ভিড় ঠেলিয়া সন্ন্যাসী ক্ৰমে আমাদিগের নিকট উপস্থিত হইলেন। তৃতীয় পরিচ্ছেদ (प्थ ब्ी प्ी আমার গালে চড় মারিয়া, দিগম্বরবাবু একটু অপ্রতিভ হইয়াছিলেন। সন্ন্যাসীকে দেখিয়া এখন তিনি বলিয়া উঠিলেন, — “ভাল হইয়াছে যে, এই সন্ন্যাসীঠাকুর আসিয়াছেন। কন্যাকে ইনি এখনই ভাল করিবেন। ইহারা সন্ন্যাসী, পবিত্র পুরুষ, পর-স্ত্রী ইহারা স্পর্শ করেন না। দূর হইতে ইনি ঝাড়-ফুক করিবেন। ডাক্তারবাবু! কিছু মনে করিও না। এখন তুমি সরিয়া যাও, ডাক্তারি চিকিৎসা আর আমি করাইব না। আমি ইহাকে কোলে লইয়া বসি। সন্ন্যাসীঠাকুর দূরে বসিয়া ঝাড়-ফুক করিবেন।” সন্ন্যাসীঠাকুর কিন্তু দূর হইতে ঝাড়-ফুক করিলেন না। দিগম্বরবাবুর পা মাড়াইয়া তিনি আমার নিকট উপস্থিত হইলেন। তাহারাষ্ট্রীয়ৈর অঙ্গুলীতে যে জুতার কড়া ছিল, সন্ন্যাসীঠাকুরের পা ঠিক তাহার উপর পড়ুয়ািছল। যাতনায় দিগম্বরবাবু উঃ করিয়া উঠিলেন। তাহার সকাতরতা-সূচক শব্দের প্রতিক্ৰিফ্‌টুক্ষপ না করিয়া, সন্ন্যাসীঠাকুর সবলে তাঁহাকে এক ঠেলা মারিলেন। দিগম্বরবাবু শুইয়া পড়িলেন। তাঁহাতে একটু স্থান হইল। সেই স্থানে বসিয়া তিনি আমাকে অন্যদিকে ঠেলিয়া দিলেন। আমিও অন্যদিকে শুইয়া পড়িলাম। তাঁহাতে আর একটু স্থান হইল। এ দিকে এক ঠেলা ও দিকে এক ঠেলা মারিয়া সন্ন্যাসীঠাকুর যে স্থান করিলেন, সেই স্থানে তিনি ভাল করিয়া উপবেশন করিলেন। তাহার পর বাম হাতে কুসীর বাম হাতের উপর রহিল। অৰ্দ্ধশায়িতভাবে কন্যাকে বসাইয়া, তিনি নিজের মস্তক অবনত করিয়া, কুসীর দক্ষিণ কৰ্ণে অতি মৃদুস্বরে বলিলেন,— “কুসি! কুসি!” দিগম্বরবাবু জুলিয়া উঠিলেন। তিনি বলিলেন,- “ও ভাই রসময়! দেখ না দাদা, এ আবার কি বলে!” রসময়বাবু কোন উত্তর করিলেন না; বিস্মিত হইয়া সন্ন্যাসীর মুখপানে তিনি চাহিয়া রহিলেন। দিগম্বরবাবু এবার সন্ন্যাসী ঠাকুরকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,- “বলি, ও গোসাইজি! এ তোমার কিরূপ ব্যবহার বল দেখি! আমি তোমাকে ভাল মানুষ মনে করিয়াছিলাম, কিন্তু এই ভিজিটিখোরের চেয়ে তুমি আবার এককাটি সরেশ! ইনি তবু পায়ের উপর কন্যাকে রাখিয়াছিলেন। তুমি তাহাকে বুকে তুলিয়া লইলে! কন্যা যে বালিকা নয়, পূর্ণ যুবতী, তাহা কি তোমার জ্ঞান নাই? ভণ্ড তপস্বি!” দিগম্বরবাবুর কথায় কেহ উত্তর করিল না। পাগল বলিয়া সকলে তাঁহার কথা তুচ্ছ করিল। কন্যার কানের নিকট মুখ রাখিয়া, সন্ন্যাসী মৃদুস্বরে বারবার কেবল—“কুসি! কুসি!” বলিয়া

    • firls six g3 &g! - www.amarboicom a ՀԳՏ)