পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাকিতে লাগিলেন । সন্ন্যাসীর আশ্চৰ্য্য-শক্তি দেখিয়া, রসময়বাবু প্রভৃতি সকলেই বিস্মিত হইলেন। সন্ন্যাসী সম্পূর্ণ অপরিচিত লোক; রসময়বাবু কখন তাঁহাকে দর্শন করেন নাই; উজিরগড়ের কেহ। তাহাকে কখন দেখে নাই। তথাপি তিনি রসময়বাবুর কন্যার নাম,-“ভাল নাম নহে, ডাক নাম,-উচ্চারণ করিতে সমর্থ হইলেন। সন্ন্যাসী মহান্তদিগের কিছুই অবিদিত থাকে না। ভূত, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান সকলই তাঁহারা প্ৰত্যক্ষ দেখিয়া থাকেন। সন্ন্যাসীর অদ্ভুত ক্ষমতার আরও বিশেষরূপ পরিচয় শীঘ্রই সকলে পাইল। তিনি কোনরূপ ঔষধ প্ৰদান করিলেন না, অথবা কোনরূপ মন্ত্র পাঠ করিলেন না। কেবল কন্যার নাম ধরিয়া ডাকিলেন। কিন্তু তাহাতেই সেই মৃতপ্রায় কন্যা জীবন প্রাপ্ত হইল। এতক্ষণ ধরিয়া যাহার। আমি চৈতন্য উৎপাদন করিতে পারি নাই, সন্ন্যাসীঠাকুরের অদ্ভুত তপস্যা-বলে এখন তাহার চৈতন্য হইল। কুসী প্রথমে একটি দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিল। তাহার পর, সে চক্ষু উনীলিন করিল। কিছুক্ষণের নিমিত্ত সন্ন্যাসীর মুখের দিকে সে একদৃষ্টি চাহিয়া রহিল। পুনরায় একটি দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া, সে চক্ষু মুদ্রিত করিল। পুনরায় চক্ষু উমীলিত করিয়া, সন্ন্যাসীর পানে চাহিয়া রহিল। পুনরায় সে চক্ষু মুদ্রিত করিল। চক্ষু উনীলন, সন্ন্যাসীর প্রতি দৃষ্টি, দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ, চক্ষু মুদ্রিতকরণ, তিন চারি বার সে এইরূপ করিল। শেষবার যখন সে চক্ষু উমীলন করিল, তখন ধীরে ধীরে বাম হস্তে মাথার কাপড়টি খুঁজিয়া, ঘোমটাটি টানিয়া দিল। তাহার পর, দক্ষিণ হস্তটি সন্ন্যাসীর গলদেশের পশ্চাৎ ভাগে রাখিল। অবশেষে আপনার মস্তকটি সন্ন্যাসীর বাম বাহু হইতে সরাইয়া, তাঁহার বক্ষঃস্থ সে চক্ষু বুজিল। সুস্থ হইয়া যেন সে এখন নিদৃষ্টং ནི་ལག་གི་ལག་གི་བ་ সঁকি বলিয়া সে আপনার মস্তক রাখিল! সন্ন্যাসীও না। যুবক ও উলঙ্গ শুকদেব গোস্বামীকে দেখিয়া অন্সরীগণ লজ্জা করে নাই, কিন্তু বৃদ্ধ বল্কলপরিধেয় ব্যাসকে দেখিয়া তাহারা লজ্জা করিয়াছিল! সন্ন্যাসীর অদ্ভুদ মাহাত্ম্য দেখিয়া, রসময়বাবু প্রভৃতি সকলেই বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইয়া রহিলেন। কেবল দিগম্বরবাবু সন্ন্যাসীর মাহাত্ম্য দর্শনে মুগ্ধ হইলেন না। রসময়বাবুকে সম্বোধন করিয়া তিনি বলিলেন,- “রসময়! তোমার কি ঘূণা পিত্ত একেবারে নাই হে? তোমার চক্ষের উপর তোমার যুবতী কন্যাকে কেহ বা কোলে করিতেছে, কেহ বা বুকে করিয়া লইতেছে, ইহাতে তোমার কি লজ্জা বোধ হয় না? ছিঃ!” তাহার পর সন্ন্যাসীকে সম্বোধন করিয়া তিনি বলিলেন, — “সন্ন্যাসীঠাকুর! কন্যার এখন জ্ঞান হইয়াছে। আর ইহার চিকিৎসা করিতে হইবে না। এ আমার কন্যা; আমি ইহার বর। আমার সহিত এখনি বিবাহ হইবে। কতক মন্ত্র বলা হইয়াছে, আর গোটাকত মন্ত্র বলিলেই হয়। কন্যাকে ছাড়িয়া দিয়া, এখন আপনি একটু সরিয়া বসুন। বাকী কয়টা মন্ত্র আমি পড়িয়া লই। আসুন পুরোহিত মহাশয় আসুন! রসময়! আয় দাদা! কাজটা শেষ করিয়া ফেলি। এই সব গোলমালে লগ্ন ভস্ম হইয়া গেল।” হবু জামাতাকে রসময়বাবু এখন বিলক্ষণ চিনিয়াছিলেন। তাহার প্রতি এখন তাহার ঘোরতর হইল না! ইহার অর্থ বোধ হয় এই S Sዓ8 দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comাির্ড”********