পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবার এই রঙ্গ করিয়াছিল। আমার গেরোশনি হইয়াছে, এই কথা বলিয়া, আর একজন বাবুর মেয়েকে বে করিতে চাহিয়াছেন। বালাই আর কি! গেরো-শান্নি হবে কেন গা! আমার গিনী-মা কেমন শক্ত, কেমন দাঁড় রহিয়াছিল। আর দেখ জমাদার! এই কার দোষ দিব! এই বাবুগুলোই বা কি বল দেখি? চোখের মাথা খেয়ে গয়নার লোভে তিনকেলে ফোকলা বুড়োর হাতে তারা মেয়ে গুজে দেবে, তা ও বেচারাই বা করে কি?” চাপরাসী বলিল,— “হামিও সেই বাত বলি।” বিন্দী বলিল,— “হাঁ ভাই জমাদার! তুমি বিবেচনা করিয়া দেখ। ভাগ্যে গিনী-মায়ের ভগিনীপতির ভায়রা-ভাই খবরটি দিল, তাই তো তিনি জানিতে পারিলেন!! তাই গিনী-মা বলিলেন, — ‘বিন্দী! বুড়ো আবার মেতেছে। চল, ফের যাই, গিয়া ব্যাটার বাড়ীতে তার বিষ ঝাড়াই।” আমি বলিলাম, যাব বই কি গিামী-মা! যখন তোমার এমন বিপদ, তখন আমি তোমাকে নিয়ে যাব। আমি পথঘাট সব জানি। কত লোককে আমি কাশী বৃন্দাবনে নিয়ে যাই। ঠাকুরবাড়ীও কতবার গিয়াছি। মেয়েমানুষ হইলে কি হয়! গিনী-মাকে পিণ্ডিতে তো আনিলাম বাছা!” গলা-ভাঙ্গা এখন বিন্দীর কথাটি লুফিয়া লইলেন। তিনি বলিলেন, — “হা, বিন্দী বলিয়াছে ভাল। আমরা দুইজনে পিণ্ডিতে আসিলাম। তোমার বাসায় যেখানে তোমার পিণ্ডি চটিকান রহিয়াছে, সেই বাড়ীতে যাইলাম। বিছানার শিয়রে, দেয়ালের গায়ে,-দেখিলাম, ছোট একটি বঁধানো ছবি রহিয়াছে। এই ষ্টুড়ির ছবি বুঝি! লোকের মুখে শুনিলাম যে, বাবু বে করিতে গিয়াছেন। হ্যা রে, মুখপোড়া! তোর না দুটাে আইবুড়ো বুড় বড় নাতিনী রহিয়াছে!” ভয়ে দিগম্বরবাবু একেবারে কঁটা হইয়া গিয়াছেনুঞ্জিবাঁহ-বিষয়ে এখন তিনি সম্পূর্ণ হতাশ হইলেন। তাঁহার যে গৃহ শুন্য হয় নাই, তিনি যে, থ্যা কথা বলিয়াছিলেন, সে কথা এখন প্ৰকাশ হইয়া পড়িল। তিনি যে ধন্যবান লোকুণ্ঠাহীর স্ত্রীর ভাব দেখিয়া তাহাও বােধ হইল না। তাঁহার যে গ্ৰী আছে, তাহা জানিয়া, রসুঙ্গুলীৰ্ব আর তাঁহার সহিত কন্যার বিবাহ দিবেন না! রসময়বাবু সম্মত হইলেই বা ফল কিংস্ট্রী। তাহা হইলে প্ৰহারের চােটে তাঁহার হাড়-গোড় চূর্ণ করিয়া দিবে। গলা-ভাঙ্গার হাতে র তাহার উত্তম-মধ্যম হইয়া গিয়াছে। এলাহাবাদ থাকিতে এইরূপ আর একবার তিনি বিবাহের আয়োজন করিয়াছিলেন। মীে হইতে সে-বার যখন এলাহাবাদে বদলি হইয়াছিলেন, তখন গৃহিণীকে দেশে পাঠাইয়া এই কীৰ্ত্তি করিয়াছিলেন। উত্তর-পশ্চিম হইতে পঞ্জাবে বদলি হইবার সময় এবারও সেইরূপ গৃহিণীকে সঙ্গে লইয়া আসেন নাই। তাঁহাকে দেশে প্রেরণ করিয়াছিলেন। তাঁহার পত্নীবিয়োগ হইয়াছে—পঞ্জাবে আসিয়া সকলকে এইরূপ পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন। এই ভয়ে তিনি দেশে গিয়া কুসীকে বিবাহ করিতে সম্মত হন নাই। এলাহাবাদে যে বিবাহের সম্বন্ধ হইয়াছিল, তাহাতে দিগম্বরবাবুকে এবারের মত বরসজ্জা করিতে হয় নাই। বিবাহদিনের পূৰ্ব্বেই তাঁহার স্ত্রী আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন। তাহার পর, গাত্র-বেদনায় দিগম্বরবাবু সাত আট দিন উঠিতে পারেন। নাই। আজ পাছে এই সভার মাঝখানেই সেইরূপ গাত্র-বেদনার যোগাড় হইয়া পড়ে, সেজন্য ভয়ে জড়-সড় হইয়া তিনি সুর ফিরাইলেন। """ firls six g3 &g! - www.amarboicom a Saq